ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা Logo ডাকসু হল সংসদে মাগুরার জয়জয়কার: ছয় কৃতি মুখে গর্বিত জনপদ Logo ইসলামপুরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo জামালপুরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্মরণসভা Logo ঘাটাইলে স্বাধীন বাংলা মিনি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo গৌরীপুরে ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও দলকে নির্বাচন মুখী করতে বিএনপির আলোচনা সভা Logo গোলাপগঞ্জে শিশু ধর্ষনের মিথ্যা মামলার অভিযোগে মানববন্ধন Logo ভেদরগঞ্জে জমি বিক্রির বায়না নিয়ে প্রতারণায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ Logo খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন Logo বাগেরহাটে আসন পুনর্বহালের আন্দোলনে সকলকে শরিক হওয়ার আহ্বান

খেলাপি ঋণ পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এ সময় মোট ঋণ স্থিতির (আউট স্ট্যান্ডিং) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত এসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এসব ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির পরিমাণ তিন লাখ ১২ হাজার ৫৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি  ৩৩ লাখ টাকা। এ সময়ে এসব বেসরকারি ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশ। এ সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৪৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ঋণ স্থিতির পরিমাণ ৬৫ হাজার ৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।

রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ। খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মোট ঋণ স্থিতির পরিমাণ ৪৪ হাজার কোটি  ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বর খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে।

তারা ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো ভুয়া দলিল ও অনিয়মের মাধ্যমে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর এই ঋণের একটি অংশ খেলাপিতে পরিণত হবে।

তারা বলেন, শুধু এস আলম ও তার সহযোগীরা একাই ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঋণ মন্দ ঋণে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে অনেকে ঋণ পরিশোধ করতে চান না। তাদের এই প্রবণতা মন্দ ঋণের বোঝা আরও বাড়াতে পারে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা অধিকাংশ ঋণ অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে, ফলে এসব ঋণ আদায় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পরামর্শে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সাবেক সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ শতাংশ। এখন সকল প্রাক্কলনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খেলাপি ঋণ পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা

আপডেট সময় :

 

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

এ সময় মোট ঋণ স্থিতির (আউট স্ট্যান্ডিং) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৬ হাজার ১১১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত এসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৪০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এসব ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির পরিমাণ তিন লাখ ১২ হাজার ৫৫৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ। খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৪৯ হাজার ৮০৬ কোটি  ৩৩ লাখ টাকা। এ সময়ে এসব বেসরকারি ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৬১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশ। এ সময়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ২৪৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ঋণ স্থিতির পরিমাণ ৬৫ হাজার ৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা।

রাষ্ট্র মালিকানাধীন বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ। খেলাপি ঋণের পরিমাণ পাঁচ হাজার ৮১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। মোট ঋণ স্থিতির পরিমাণ ৪৪ হাজার কোটি  ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি প্রান্তিক অক্টোবর-ডিসেম্বর খেলাপি ঋণ আরও বাড়বে।

তারা ধারণা করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো ভুয়া দলিল ও অনিয়মের মাধ্যমে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু সরকার পতনের পর এই ঋণের একটি অংশ খেলাপিতে পরিণত হবে।

তারা বলেন, শুধু এস আলম ও তার সহযোগীরা একাই ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছে। ইতোমধ্যে এসব ঋণ মন্দ ঋণে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে অনেকে ঋণ পরিশোধ করতে চান না। তাদের এই প্রবণতা মন্দ ঋণের বোঝা আরও বাড়াতে পারে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা অধিকাংশ ঋণ অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে, ফলে এসব ঋণ আদায় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির পরামর্শে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল সাবেক সরকার।

আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ শতাংশ। এখন সকল প্রাক্কলনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।