ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬
গাইবান্ধা সদর আসনে মাঠ-ময়দানে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর
- আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে-ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জনসংযোগের মাধ্যমে জনগনের সাথে মতবিনিময় করছেন। জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো: আব্দুল করীম গাইবান্ধা সদর-২ আসনে সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তার নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিদিনই আসনের সর্বত্রে ছুটে চলছেন। তিনি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাসীন আমলে নাশকতার কয়েকটি মামলায় কয়েকবার জেল হাজতে থাকেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধার ৫টি আসনে তাদের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে মাঠে নেমে দিলেও এই সব আসনে বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী থাকায় দলটি এখনও কোন প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেয়নি। তবে বিএনপির সদর আসনে মো: আনিছুজ্জামান খান বাবু,আব্দুল আউয়াল ও অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব মো: আমিনুল ইসলাম নির্বাচনী জনসংযোগে আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে বিএনপি যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবে সদর উপজেলা ও পৌর এলাকার নেতা-কর্মীরা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা কমিটি গাইবান্ধার ৫টি আসনে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দিকে মাঠে সক্রিয়তা নিশ্চিত করতে কাজ করার নির্দেশনা দেয় বলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান। গাইবান্ধা সদর-২ আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: আব্দুল করীম জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এক বছর ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জনগনের দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে জনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে।
গত বছরের ৫ আগষ্ট গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সারাদেশের সর্বত্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সাংগঠনিক শক্তি সঞ্চারে কর্মী ও সমর্থক বাড়ানোর কাজে বেশি গুরুত্ব দেয় জামায়াতে ইসলামী। সে অনুযায়ী পাড়া-মহল্লায়সহ হাটে-ঘাটে ও মাঠে-ময়দানে সক্রিয় কর্মীরা জনসংযোগের মাধ্যমে তাদের সংগঠনের কর্মপরিধী নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে সক্রিয় কর্মীরা।
স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতা হাফেজ মো: রেজাউল করীম বলেন,ফ্যাসিষ্ট শাসনে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লঙ্ঘন ছিল কিন্তু তখন কোন মানবাধিকার সংস্থা পাশে দাড়ায়নি বা আইনের অধিকার আমাদের ছিল না। অন্যায় ভাবে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় যা একটি গনতান্ত্রিক দেশে অগ্রহনযোগ্য।
চরাঞ্চলের জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী মোত্তালেব হোসেন জানান,অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার উপর। আমরা নির্বাচনের সকল প্রকার আইন কানুন মেনে সুষ্ঠ স্বাভাবিক নির্বাচনের জন্য কাজ করছি। সাধারণ মানুষ তার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে ভোট দেয়ার সাংবিধানিক অধিকার রাখে,সেই অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমাদের সংগঠন ভোটারের দোরগোড়ায় গিয়ে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট প্রত্যাশী হিসেবে জনসংযোগ করছে।













