ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

গুইমারায় সহিংসতায় নিহত ৩, আহত বহু

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির এক পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার রামেসু বাজারে দুষ্কৃতকারীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত এবং সেনা-পুলিশ সদস্যসহ বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের প্রতিবাদে “জুম্মা ছাত্র জনতা” নামের একটি সংগঠন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামেসু বাজার এলাকায় দুষ্কৃতকারীরা কয়েকটি দোকান ও আশপাশের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবিনিময় হয়।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় পাহাড়ি সম্প্রদায়ের ৩ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ১৩ জন সেনা সদস্য ও ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। আহতদের মধ্যে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সেনাবাহিনীর একজন মেজর রয়েছেন।
ধর্ষণ মামলায় পুলিশ ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা মূল ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গুইমারায় সহিংসতায় নিহত ৩, আহত বহু

আপডেট সময় :

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালায় ৮ম শ্রেণির এক পাহাড়ি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত রোববার রামেসু বাজারে দুষ্কৃতকারীদের হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত এবং সেনা-পুলিশ সদস্যসহ বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের প্রতিবাদে “জুম্মা ছাত্র জনতা” নামের একটি সংগঠন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে। অবরোধ চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামেসু বাজার এলাকায় দুষ্কৃতকারীরা কয়েকটি দোকান ও আশপাশের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবিনিময় হয়।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলায় পাহাড়ি সম্প্রদায়ের ৩ জন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে ১৩ জন সেনা সদস্য ও ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। আহতদের মধ্যে গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও সেনাবাহিনীর একজন মেজর রয়েছেন।
ধর্ষণ মামলায় পুলিশ ইতোমধ্যে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তাকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা মূল ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুইমারা ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বাজার ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, সহিংসতার ঘটনায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।