ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

গুম ব্যক্তিদের তালিকা করতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অবশেষে গুম ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের অপর চার সদস্য হলেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সিআইডি, বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে এই তদন্ত কমিশন।

কমিশন ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুসারে তদন্ত কমিশন জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে এবং এ বিষয়ে সুপারিশ করবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করবে কমিশন। এছাড়া গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করবে এটি।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্তকরণ ও তারা কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের এই কমিশন গঠন করে অন্তবর্তী সরকার। এই কমিশনকে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সেসময় জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গুম ব্যক্তিদের তালিকা করতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন

আপডেট সময় : ১২:১৩:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৪

 

অবশেষে গুম ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের অপর চার সদস্য হলেন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারক মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সিআইডি, বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা ও কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে এই তদন্ত কমিশন।

কমিশন ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুসারে তদন্ত কমিশন জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবে এবং এ বিষয়ে সুপারিশ করবে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করবে কমিশন। এছাড়া গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করবে এটি।

বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্তকরণ ও তারা কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিলেন, তা তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের এই কমিশন গঠন করে অন্তবর্তী সরকার। এই কমিশনকে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গত সপ্তাহে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল প্রত্যেকটি গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে সেসময় জানিয়েছিলেন আইন উপদেষ্টা।