গুরুত্বপূর্ণ দলিল নষ্ট, লোপাট শত কোটি টাকা

- আপডেট সময় : ০৯:১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪০৪ বার পড়া হয়েছে
১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণের অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হয়েছে
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের শত কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণের অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আইন মেনেই গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সাতটি প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন সাইফুল মজিদ। এসময় গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনূস অভিযোগ করেছিলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে থাকা ১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আটটি জবরদখল করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা নেই। এসব প্রতিষ্ঠান তিনি ব্যবসার মুনাফা দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ড. ইউনূসের সেই অভিযোগের জবাব দিতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডাকে গ্রামীণ ব্যাংক।
এ সময় সাইফুল মজিদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকে কোনো মালিকানা নেই। গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন খতিয়ান ধ্বংস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সরানো হয়েছে যা মানিলন্ডারিংয়ের আওতায় পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকালে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেন, ১৯৯০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন খতিয়ান হারিয়ে গেছে। ড. ইউনূস যাওয়ার আগে এসব ধ্বংস ও বিলুপ্ত করে গেছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ৫১-৫২টি। প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার এবং ঋণদাতা জনগণ। ড. ইউনূসের কোনো ধরনের মালিকানা বা শেয়ার নেই।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তি; এই সাতটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদ গঠন করেছে গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড- এই তিনটি কোম্পানি থেকে ড. ইউনূসের চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৫১-৫২টি প্রতিষ্ঠান আছে, সবগুলোর চেয়ারম্যান ড. ইউনূস। সেখানে তারই পছন্দ অনুযায়ী অল্প কয়েকজনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এতগুলো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়েছেন পরিচালক পদে। এখান থেকে অনেক টাকা যেটা মানিলন্ডারিংয়ের আওতায় পড়ে। এটির অনেক আলামত আমরা পেয়েছি।
গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা এক কোটি পাঁচ লাখ। আমরা যে কাজটি করছি সেটি তাদের আইনগত অধিকার রক্ষা করার জন্য বলেও জানান তিনি।