ঢাকা ০৮:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

গোমস্তাপুরে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের উদ্বোধন

মোঃ সামিরুল ইসলাম, গোমস্তাপুর
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধান চাষাবাদে বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট থেকে সুরক্ষা দিতে কৃষকদের মাঝে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে সমলয় চাষাবাদ কর্মসূচির আওতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন এর রাইহোগ্রামে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আওতায় এবছর ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন রাইহোগ্রাম মাঠে ৫০ একর জমিতে ৪৫০০ প্লাস্টিকের বিশেষ কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এই বীজ চারা রোপণের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে করে বাড়তি সারের প্রয়োজন হয় না। ট্রে‘তে চারা উৎপাদনে জমির পরিমাণও কম লাগে।

ট্রে‘তে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন দিয়ে একই গভীরতায় সমানভাবে রোপন করা হয়। একসঙ্গে চারা রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে এবং একসঙ্গে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। প্রচলিত পদ্ধতিতে চারা রোপণের পর ফসল ঘরে তুলতে ১৪৫ থেকে ১৬০ দিন সময় লাগলেও সমলয় পদ্ধতিতে এর থেকে সময় কম লাগবে উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডাঃপলাশ সরকার বলেন সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে বীজ বপন থেকে সার প্রয়োগ ও ধান কাটা মাড়াই সবকিছু করা হবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দুইটি উপজেলায় গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে ১০০ একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার কারণে কৃষকের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। একটি মাঠে যখন বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদ করা হবে। কেউ আগে কেউ পরে রোপণ করবে তখন পরিচর্যা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। তাই একই সময় একটা প্লটে একই জাতের ধান চাষাবাদ করা হলে তখন পরিচর্যা করা সহজ হবে এবং ধান কাটার সময় সুবিধা হবে। কৃষিতে যান্ত্রিকরণ হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকট নিরসন ও ফসলের ভালো ফলন সহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের কৃষকদের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ দেন। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনে ধান রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণচন্দ্র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডাঃপলাশ সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, আব্দুর রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, রইসুদ্দিন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোমস্তাপুরে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ধান চাষাবাদে বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট থেকে সুরক্ষা দিতে কৃষকদের মাঝে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে সমলয় চাষাবাদ কর্মসূচির আওতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন এর রাইহোগ্রামে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আওতায় এবছর ৫০ একর জমিতে সমলয় পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষাবাদ করা হচ্ছে। গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে গোমস্তাপুর উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়ন রাইহোগ্রাম মাঠে ৫০ একর জমিতে ৪৫০০ প্লাস্টিকের বিশেষ কৃষি যন্ত্রের মাধ্যমে মাটিতে জৈব সার সংমিশ্রণে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধান বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে এই বীজ চারা রোপণের জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। এতে করে বাড়তি সারের প্রয়োজন হয় না। ট্রে‘তে চারা উৎপাদনে জমির পরিমাণও কম লাগে।

ট্রে‘তে উৎপাদিত চারা রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিন দিয়ে একই গভীরতায় সমানভাবে রোপন করা হয়। একসঙ্গে চারা রোপণ করায় ধান একসঙ্গে পাকবে এবং একসঙ্গে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। প্রচলিত পদ্ধতিতে চারা রোপণের পর ফসল ঘরে তুলতে ১৪৫ থেকে ১৬০ দিন সময় লাগলেও সমলয় পদ্ধতিতে এর থেকে সময় কম লাগবে উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডাঃপলাশ সরকার বলেন সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদে বীজ বপন থেকে সার প্রয়োগ ও ধান কাটা মাড়াই সবকিছু করা হবে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দুইটি উপজেলায় গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে ১০০ একর জমিতে চাষ করা হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার কারণে কৃষকের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। একটি মাঠে যখন বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদ করা হবে। কেউ আগে কেউ পরে রোপণ করবে তখন পরিচর্যা সঠিকভাবে করা সম্ভব হয় না। তাই একই সময় একটা প্লটে একই জাতের ধান চাষাবাদ করা হলে তখন পরিচর্যা করা সহজ হবে এবং ধান কাটার সময় সুবিধা হবে। কৃষিতে যান্ত্রিকরণ হওয়ার কারণে শ্রমিক সংকট নিরসন ও ফসলের ভালো ফলন সহ বিভিন্ন সুবিধা পাবে কৃষকেরা। তাই এই অঞ্চলের কৃষকদের সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার জন্য পরামর্শ দেন। রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার মেশিনে ধান রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কৃষ্ণচন্দ্র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডাঃপলাশ সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফজলুর রহমান, আব্দুর রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, রইসুদ্দিন প্রমুখ।