গোলাপগঞ্জে পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন হলে ও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে

- আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার রাঙ্গাডর বাজারের পাশে নির্মিত একটি পাবলিক টয়লেট বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় জনগণ বা পথচারীদের জন্য সুবিধাজনক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টয়লেটটি নির্মাণ করা হলেও এটি বর্তমানে তালাবদ্ধ অবস্থায় থেকে কোনো কাজে আসছে না।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্মিত এ পাবলিক টয়লেট উদ্বোধন করেছিলেন গোলাপগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আমিনুল রাবেল, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারুক আলী এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনোয়ারা ফেরদৌস। উদ্বোধনের পর থেকেই রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অভাবে টয়লেটটি অব্যবহৃত ও ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে।
রাঙ্গাডর বাজারে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন তাছাড়া গোলাপগঞ্জ-ঢাকাদক্ষিণ-ভাদেশ্বর, গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজার এলাকার হাজার হাজার লোক সড়কপথে এই বাজারের পাশ দিয়ে যাতায়াত করেন। ফলে পাবলিক টয়লেট থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করতে না পেরে সাধারন জনগন ভোগান্তিতে পড়েন। সরেজমিন দেখা যায় বর্তমানে পরিত্যক্ত স্থাপনাটিতে ছাগল বিচরণ করছে।
জনসেবামূলক এ স্থাপনাটি চালু করার জন্য দ্রুত পৌর কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
পাবলিক টয়লেটের দেয়ালে একটি নামফলক রয়েছে সেখানে লিখা আছে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, শুভ উদ্বোধন করেন আমিনুল ইসলাম রাবেল মেয়র গোলাপগঞ্জ পৌরসভা, বাস্তবায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। শুভ উদ্বোধন করা হয় ১৮ মে ২০২২ ইং ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটটির চারপাশে ঝোঁপ ঝাড়ে ভরে গিয়েছে। প্রবেশের রাস্তায় লোহা মালামাল রাখা। টয়লেটের প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা, সেটাতে পড়েছে অনেক পুরনো মরিচা। দেখেই বুঝা যাচ্ছে তালাটি লাগানোর পর থেকে আর খোলা হয়নি। রাঙাডহর বাজারের সভাপতি ছালেহ আহমদ এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপরাগত জানান।
পাশের ব্যাবসায়ী বলেন, পাবলিক টয়লেটটি নির্মাণের পর থেকে তালাবদ্ধ রয়েছে। একদিনের জন্যও খোলা হয়নি। ওই দোকানি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার দোকানের পাশে পাবলিক টয়লেটটি নির্মাণ করা হলেও জরুরী প্রয়োজনে আমরা এটি ব্যবহার করতে পারি না। এটা কেন নির্মাণ করেছে তারাই ভালো জানে। যদি মানুষের প্রয়োজনে এটি নির্মাণ করতো তাহলে মানুষের ব্যবহারের প্রয়োজনে এটি উন্মুক্ত করে দিত।