গোলাপগঞ্জে লাগামছাড়া সবজির বাজার

- আপডেট সময় : ৩০ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের গোলাপগঞ্জে সবজির বাজার বর্তমানে বেশ চড়া, এবং দাম প্রায়ই “লাগামছাড়া” হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে, পেঁপে ও আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির কেজি ৮০/৯০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।
এর প্রধান কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাজারে সবজি আসতে দেরি হওয়া এবং পরিবহন খরচ বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে, সাধারণ মানুষজনকে বেশি দামে সবজি কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পেঁপে ও শসা,আলু ছাড়া প্রায় সব সবজির দাম ৮০ টাকার উপরে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, কারণ তাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।
গোলাপগঞ্জে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে দফায়-দফায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
গতকাল রোববার গোলাপগঞ্জ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এখন বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। এতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম সংকটে। অনেক ক্রেতা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।
এক সপ্তাহ আগে বেগুনের দাম ছিল ৬০ টাকা কেজি, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। পটলের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে বেড়ে ৭০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে বেড়ে ৯০ টাকা, আর ঢেঁড়স ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে ও কাঁচা কলার দামও বেড়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে ৫০ টাকার বেগুন এখন ১২০ টাকা। সব সবজির দামই লাগামছাড়া। গরিব মানুষের বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং করা জরুরি।
অন্যদিকে গোলাপগঞ্জ বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি। কম দামে কিনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করি। সীমিত লাভ করি আমরা। দাম বাড়তি বা কমার বিষয়ে আমাদের হাত নেই।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য, বাজার মনিটরিং করা এবং সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকে।