ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুমে তালা! দায়িত্বহীন প্রকৌশলী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ৪৪৫ বার পড়া হয়েছে

তালাবদ্ধ বরগুনা ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুম : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

জাতীয় দুর্দিনে একজন প্রকৌশলী কতটা দায়িত্বহীন হতে পারেন, তার প্রমাণ দিলেন দুর্যোগপূর্ণ দক্ষিণ জনপদের বরগুনা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী। তার নাম মো. সাখাওয়াত হোসেন।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের জরুরি তথ্য সরবরাহের জন্য বরগুনার তালতলীর কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। দেশজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারী ছুটি বাতিল করে সরকার। কিন্তু এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকারী আদেশকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন না করে কন্ট্রোলরুমে তালা ঝুলিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। যে কারণে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষ কোন তথ্যই পায়নি।

অথচ রেমালের প্রভাবে বরগুনায় বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বহু সম্পদ।

প্রকৌশলী ঢাকায় অবস্থান করছেন তা নিশ্চিত করে বরগুনা ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে আঘাত হানতে পারে। সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাবাস ও জলোচ্ছ্বাসসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সরবাহ করতে উপজেলায় কন্ট্রোলরুম চালু করে প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানকে।

রবিবার (২৬ মে) কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন এবং তারই দপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ সিকদার। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী ও মাসুদ রবিবার অফিসেই আসেননি। তথ্য জানার জন্য কন্ট্রোলরুমে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও কেউ তা রিসিভ করেনি। কন্ট্রোলরুম বন্ধ থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম হুমায়ূন কবির অবশ্য বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রকৌশলীকে। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করেনি। আমাকে অবহিত না করে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

তার দপ্তরের রাজস্ব খাতের অন্য কর্মকর্তারাও স্টেশনে ছিলেন না। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুমে তালা! দায়িত্বহীন প্রকৌশলী!

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

 

সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

জাতীয় দুর্দিনে একজন প্রকৌশলী কতটা দায়িত্বহীন হতে পারেন, তার প্রমাণ দিলেন দুর্যোগপূর্ণ দক্ষিণ জনপদের বরগুনা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী। তার নাম মো. সাখাওয়াত হোসেন।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের জরুরি তথ্য সরবরাহের জন্য বরগুনার তালতলীর কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব ছিলেন তিনি। দেশজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারী ছুটি বাতিল করে সরকার। কিন্তু এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকারী আদেশকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন না করে কন্ট্রোলরুমে তালা ঝুলিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। যে কারণে সংবাদকর্মী ও সাধারণ মানুষ কোন তথ্যই পায়নি।

অথচ রেমালের প্রভাবে বরগুনায় বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে বহু সম্পদ।

প্রকৌশলী ঢাকায় অবস্থান করছেন তা নিশ্চিত করে বরগুনা ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় জেলা বরগুনার তালতলীতে আঘাত হানতে পারে। সার্বক্ষণিক ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, পূর্বাবাস ও জলোচ্ছ্বাসসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সরবাহ করতে উপজেলায় কন্ট্রোলরুম চালু করে প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে কন্ট্রোলরুমের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধানকে।

রবিবার (২৬ মে) কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকেন উপজেলা প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন এবং তারই দপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুদ সিকদার। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী ও মাসুদ রবিবার অফিসেই আসেননি। তথ্য জানার জন্য কন্ট্রোলরুমে দেওয়া মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও কেউ তা রিসিভ করেনি। কন্ট্রোলরুম বন্ধ থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের কোনো তথ্যই পায়নি সাধারণ মানুষ।

বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম হুমায়ূন কবির অবশ্য বলছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছিল উপজেলা প্রকৌশলীকে। কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব পালন করেনি। আমাকে অবহিত না করে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

তার দপ্তরের রাজস্ব খাতের অন্য কর্মকর্তারাও স্টেশনে ছিলেন না। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। সবার ছুটি বাতিল হলেও তাদের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা হতাশ। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।