ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড ২০ জেলা, ক্ষয়ক্ষতি ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা: প্রতিমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪ ১৮৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ২০ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এই হিসাব এখন চূড়ান্ত নয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মিলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা হবে। এরপর ৯ জুন আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করে হিসাব চূড়ান্ত করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তা উপস্থাপন করা হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিষয়ে রোববার (২ জুন) আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার তথ্যও তুলে ধরা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ ৫ কোটি ৭৫ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও গোখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের ২৯ মের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রেমালের আঘাতে দেশের ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি ঘরবাড়ি। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘরবাড়ি। আর এই ঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।

অপর দিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ৪৮ জেলার কৃষিতে রেমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩টি জেলা। রেমালের আঘাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা তাদের আওতাধীন বিষয়ের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করবে। এরপর তারা পুনর্র্নিমাণ, সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড ২০ জেলা, ক্ষয়ক্ষতি ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ২০ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এই হিসাব এখন চূড়ান্ত নয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মিলে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা হবে। এরপর ৯ জুন আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করে হিসাব চূড়ান্ত করবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তা উপস্থাপন করা হবে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিষয়ে রোববার (২ জুন) আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তার তথ্যও তুলে ধরা হয়।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ ৫ কোটি ৭৫ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও গোখাদ্য কেনার জন্য ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের ২৯ মের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রেমালের আঘাতে দেশের ৭ জেলায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূল ও এর আশপাশের ১৯টি জেলায় প্রায় পৌনে ২ লাখ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৩৩৮টি ঘরবাড়ি। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫২৮টি ঘরবাড়ি। আর এই ঝড়ে দুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৬ লাখ।

অপর দিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক প্রতিবেদন বলছে, ৪৮ জেলার কৃষিতে রেমালের প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩টি জেলা। রেমালের আঘাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১০৯ হেক্টর ফসলি জমির ক্ষতি হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি-সংক্রান্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থা তাদের আওতাধীন বিষয়ের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করবে। এরপর তারা পুনর্র্নিমাণ, সংস্কার বা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।