চরাঞ্চলের কৃষিকে প্রযুক্তির আওতায় আনলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে
- আপডেট সময় : ০৫:০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
দেশের মূল ভূখণ্ড বৃদ্ধি পাবার সুযোগ না থাকলেও চরাঞ্চলে ভূখণ্ড দিন দিন বাড়ছে। চরাঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন এবং সেখানকার কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশে ৮ হাজার ৩১৫ বর্গমিটার চরভূমিতে বসবাসকারী নাগরিকের সংখ্যা ৮০ লখের বেশি। পলিমাটি সঞ্চিত চরের বিশাল জমিতে বিভিন্ন ফসল এবং প্রাণিসম্পদের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আওতায় আনা হলে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বুধবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় চরাঞ্চলের টেকসই অবকাঠামো : বর্তমান প্রেক্ষিত, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের পথ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জাতীয় চর অ্যালায়েন্স ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান ।
তাজুল ইসলাম বলেন, বিরূপ জলবায়ু অভিঘাতের প্রাথমিক ধাক্কা প্রথমেই চরাঞ্চলের উপর আসে বলে চরে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রয়োজন। সঠিক জরিপ ও গবেষণার মাধ্যমে চর উপযোগী অবকাঠামো স্থাপন করতে হবে।
দেশে এবং বিদেশে অর্গানিক সবজির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চরে বিভিন্ন রকমের অর্গানিক সবজি এবং ফসল চাষের সম্ভাবনা আমাদেরকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি চরে উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্যের সুষ্ঠু বিপনন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, চরের উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সামস্টিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে তা দেশের কৃষিক্ষেত্রসহ অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
বক্তব্য রাখেন এমফোরসি প্রকল্পের টিম লিডার আব্দুল আওয়াল, এমফোরসি প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মাজিদ প্রমানিক।