ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

চলছে লবণের কৃত্রিম সংকটের পাঁয়তারা

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • কোরবানির আগে সিন্ডিকেটের কারসাজি!

  • দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সক্রিয়

  • অনিয়ম রোধে মনিটরিং টীমের নজরদারি

কোরবানির ঈদের আগেই এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লবনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। পর্যাপ্ত লবণ উৎপাদন এবং মজুদ থাকা সত্বেও চট্টগ্রামের কক্সবাজার লবণ উৎপাদন অধ্যূষিত এলাকার কমিপয় লবন উৎপাদনকারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে লবণ সংকটের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত করে মজুত করা হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্রুড লবণ। এতে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও বাড়ছে লবণের দাম, এমন অভিযোগ মিল মালিকদের। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৮ কেজি হিসাবে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন। তার বিপরীতে ১১ মে পর্যন্ত মাঠ ও মিল পর্যায়ে ক্রুড লবণ মজুদ রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন। তারপরেও বেড়েছে চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম। এপ্রিলে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে সাড়ে আটশ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গত দুই-এক মাস কিছুটা বাড়তি ছিল।
কক্সবাজারেরটেকনাফ-উখিয়া-চকরিয়া-পেকুয়া-মহেশখালী-কুতুবদিয়াএবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেই লবণের ক্রুড উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সেই ক্রুড নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মিলে। নানা প্রক্রিয়ায় ক্রুড পরিশোধন করে তৈরি হয় লবণ। মাঠের কৃষকেরা উৎপাদিত ক্রুড ছেড়ে দিলেও মধ্যস্বত্বভোগীরাই সেই ক্রুড কিনে মাটির নিচে মজুত করছে বলে অভিযোগ মিল মালিকদের। বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির বলেন, যেখানে লবণ উৎপাদিত হয়, সেখানে কিছু দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির লোক থাকে। যাদের কারণে দামে কারসাজি হয়।
মাঠ পর্যায়ের মজুদদাররা ধীর গতিতে ক্রুড পাঠানোর কারণে লবণ উৎপাদনে কিছুটা সংকট হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জনতা সল্টের মালিক মো. বখতিয়ার বলেন, মজুতদারদের মজুত করে রাখা লবণ বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে বিসিককে। তাহলে লবণের দাম কমে আসবে।
আগে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে যাওয়া ক্রুডের দাম এখন কৃষক এবং মাঝিরা সমন্বয় করছে। তাই পরিশোধিত লবণের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি বিসিকের। চট্টগ্রাম বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম আলমগীর কাদেরী বলেন, উৎপাদনের কার্যক্রম কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় দাম বেড়ে পরিমিত মাত্রায় আসছে। যেটাকে সবাই মনে করছে, দাম বাড়ছে।
একাধিক লবণ ব্যবসায়ী জানান, এবিষয়ে এবার সরকার হার্ড লাইনে রয়েছে। যে ব্যক্তি বা কতিপয় লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে। সে ব্যক্তি বা গোষ্টীকে শাস্তির
আওতায় আনা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি বলেছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যদি কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়াও কেউ লবণের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে জড়িতদের জেল-জরিমানা করা হবে। শুধু তা-ই নয়, লবণের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কোনো কাজ বা চেষ্টা করলেও একই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের নির্দেশের ভিত্তিতে গতকাল থেকেই সারা দেশে লবণের নায্যমূল্য, পর্যাপ্ত সরবারহ নিশ্চিতকরণ এবং সব ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) প্রধান কার্যালয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা পর্যায়ের বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে হটলাইন (০১৭২২২০২৯৪০) যার মাধ্যমে ঈদুল আজহায় লবণের সরবরাহ, বিক্রি, মজুদ বা এ সংক্রান্ত যে কোনো অনিয়মের খবর জানানো যাবে। লবণ নিয়ে কারসাজির শাস্তি হিসেবে মোবাইল কোর্ট সর্বোচ্চ ছয় মাস এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে মোবাইল কোর্ট শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়ানোর সক্ষমতা রাখে।
বিসিকের চেয়ারম্যান বলেন, এবার ঈদুল আজহায় লবণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। বিসিকের মহাব্যবস্থাপক বলেন, এবার ঈদুল আজহায় কঠোর নজরদারি করা হবে। অনেকে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের কথা বলে মিথ্যা তথ্যে লবণ আমদানি করে বাজারে ছাড়ে। অনেকে ঈদুল আজহার চাহিদা সামনে রেখে সিন্ডিকেট করে আগেই কম দামে লবণ কিনে মজুদ করে রাখে। ঠিক পশু কোরবানি হওয়ার পর বাজারে লবণের তীব্র সংকট তৈরি করে। চাহিদা যখন বাড়তে থাকে, তখন বেশি দামে লবণ বিক্রি করে থাকে। লবণের অভাবে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে লবণ কেনে। এবার এসব অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ১৭০টি মিলে ক্রুড থেকে লবণ পরিশোধন করা হয়। এরমধ্যে এককভাবে চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট-চাক্তাই-রাজাখালী এবং পটিয়া ও বোয়ালখালীতে মিল রয়েছে ১১১টি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলছে লবণের কৃত্রিম সংকটের পাঁয়তারা

আপডেট সময় : ১২:২০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • কোরবানির আগে সিন্ডিকেটের কারসাজি!

  • দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সক্রিয়

  • অনিয়ম রোধে মনিটরিং টীমের নজরদারি

কোরবানির ঈদের আগেই এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লবনের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। পর্যাপ্ত লবণ উৎপাদন এবং মজুদ থাকা সত্বেও চট্টগ্রামের কক্সবাজার লবণ উৎপাদন অধ্যূষিত এলাকার কমিপয় লবন উৎপাদনকারী সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে লবণ সংকটের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত করে মজুত করা হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্রুড লবণ। এতে পর্যাপ্ত উৎপাদন হলেও বাড়ছে লবণের দাম, এমন অভিযোগ মিল মালিকদের। এক মাসের ব্যবধানে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৮ কেজি হিসাবে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন লবণের প্রয়োজন। তার বিপরীতে ১১ মে পর্যন্ত মাঠ ও মিল পর্যায়ে ক্রুড লবণ মজুদ রয়েছে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন। তারপরেও বেড়েছে চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম। এপ্রিলে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে সাড়ে আটশ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জামাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চামড়ায় ব্যবহৃত লবণের দাম এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গত দুই-এক মাস কিছুটা বাড়তি ছিল।
কক্সবাজারেরটেকনাফ-উখিয়া-চকরিয়া-পেকুয়া-মহেশখালী-কুতুবদিয়াএবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেই লবণের ক্রুড উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সেই ক্রুড নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের বিভিন্ন মিলে। নানা প্রক্রিয়ায় ক্রুড পরিশোধন করে তৈরি হয় লবণ। মাঠের কৃষকেরা উৎপাদিত ক্রুড ছেড়ে দিলেও মধ্যস্বত্বভোগীরাই সেই ক্রুড কিনে মাটির নিচে মজুত করছে বলে অভিযোগ মিল মালিকদের। বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবির বলেন, যেখানে লবণ উৎপাদিত হয়, সেখানে কিছু দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির লোক থাকে। যাদের কারণে দামে কারসাজি হয়।
মাঠ পর্যায়ের মজুদদাররা ধীর গতিতে ক্রুড পাঠানোর কারণে লবণ উৎপাদনে কিছুটা সংকট হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটের মেসার্স জনতা সল্টের মালিক মো. বখতিয়ার বলেন, মজুতদারদের মজুত করে রাখা লবণ বিক্রি করার ব্যবস্থা করতে হবে বিসিককে। তাহলে লবণের দাম কমে আসবে।
আগে মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে যাওয়া ক্রুডের দাম এখন কৃষক এবং মাঝিরা সমন্বয় করছে। তাই পরিশোধিত লবণের দাম কিছুটা বেড়েছে বলে দাবি বিসিকের। চট্টগ্রাম বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম আলমগীর কাদেরী বলেন, উৎপাদনের কার্যক্রম কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করায় দাম বেড়ে পরিমিত মাত্রায় আসছে। যেটাকে সবাই মনে করছে, দাম বাড়ছে।
একাধিক লবণ ব্যবসায়ী জানান, এবিষয়ে এবার সরকার হার্ড লাইনে রয়েছে। যে ব্যক্তি বা কতিপয় লবণের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করবে। সে ব্যক্তি বা গোষ্টীকে শাস্তির
আওতায় আনা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি বলেছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যদি কোনো ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান বাজারে লবণের কৃত্রিম সংকটের সৃষ্টি করে, তাহলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়াও কেউ লবণের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করলে বা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে জড়িতদের জেল-জরিমানা করা হবে। শুধু তা-ই নয়, লবণের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কোনো কাজ বা চেষ্টা করলেও একই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের নির্দেশের ভিত্তিতে গতকাল থেকেই সারা দেশে লবণের নায্যমূল্য, পর্যাপ্ত সরবারহ নিশ্চিতকরণ এবং সব ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন) প্রধান কার্যালয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা পর্যায়ের বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে হটলাইন (০১৭২২২০২৯৪০) যার মাধ্যমে ঈদুল আজহায় লবণের সরবরাহ, বিক্রি, মজুদ বা এ সংক্রান্ত যে কোনো অনিয়মের খবর জানানো যাবে। লবণ নিয়ে কারসাজির শাস্তি হিসেবে মোবাইল কোর্ট সর্বোচ্চ ছয় মাস এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে মোবাইল কোর্ট শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়ানোর সক্ষমতা রাখে।
বিসিকের চেয়ারম্যান বলেন, এবার ঈদুল আজহায় লবণ নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। বিসিকের মহাব্যবস্থাপক বলেন, এবার ঈদুল আজহায় কঠোর নজরদারি করা হবে। অনেকে শিল্প-কারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহারের কথা বলে মিথ্যা তথ্যে লবণ আমদানি করে বাজারে ছাড়ে। অনেকে ঈদুল আজহার চাহিদা সামনে রেখে সিন্ডিকেট করে আগেই কম দামে লবণ কিনে মজুদ করে রাখে। ঠিক পশু কোরবানি হওয়ার পর বাজারে লবণের তীব্র সংকট তৈরি করে। চাহিদা যখন বাড়তে থাকে, তখন বেশি দামে লবণ বিক্রি করে থাকে। লবণের অভাবে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে লবণ কেনে। এবার এসব অনিয়ম রোধে কঠোর নজরদারি করা হবে।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ১৭০টি মিলে ক্রুড থেকে লবণ পরিশোধন করা হয়। এরমধ্যে এককভাবে চট্টগ্রাম নগরীর মাঝিরঘাট-চাক্তাই-রাজাখালী এবং পটিয়া ও বোয়ালখালীতে মিল রয়েছে ১১১টি।