ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

আবুল হোসেন, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
  • আপডেট সময় : ৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”—এই মূল স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিংসহ নানাবিধ সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোবাবর সকাল ১১টায় নাচোল থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) হাসান তারেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন—
অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পুলিশের একার পক্ষে চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিং বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো অপরাধ চোখে পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ৩ নং নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর ইয়াকুব আলী, পৌর আমীর মনিরুল ইসলাম এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মুকুল।
তাঁরা বলেন চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং শুধু আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপরাধ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এলাকায় মাঝে মাঝে ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও অনেকেই ভয়ে মুখ খোলেন না। জনগণের দাবি— পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং আরও জোরদার করা এবং প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা সভা আয়োজন করা।
সভাপতির বক্তব্যে নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন—
অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, আইন থেকে কেউ রেহাই পাবে না। নাচোলকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে পুলিশের সঙ্গে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় :

“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”—এই মূল স্লোগানকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, ইভটিজিংসহ নানাবিধ সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গতকাল রোবাবর সকাল ১১টায় নাচোল থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) হাসান তারেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন—
অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। পুলিশের একার পক্ষে চুরি, ছিনতাই কিংবা ইভটিজিং বন্ধ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনো অপরাধ চোখে পড়লেই তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বদা জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ৩ নং নাচোল ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তাহের খোকন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমীর ইয়াকুব আলী, পৌর আমীর মনিরুল ইসলাম এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান মুকুল।
তাঁরা বলেন চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং শুধু আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা নয়, এটি একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব অপরাধ প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণও নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, এলাকায় মাঝে মাঝে ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও অনেকেই ভয়ে মুখ খোলেন না। জনগণের দাবি— পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং আরও জোরদার করা এবং প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা সভা আয়োজন করা।
সভাপতির বক্তব্যে নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন—
অপরাধী যতই শক্তিশালী হোক, আইন থেকে কেউ রেহাই পাবে না। নাচোলকে অপরাধমুক্ত করতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে পুলিশের সঙ্গে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।