ঢাকা ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

চান্দিনায় রাস্তার কাজে অনিয়ম স্বাস্থ্যঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী

মোঃ সাদ্দাম হোসেন, (কুমিল্লা উত্তর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলা ৯ নং মাইজখার ইউনিয়ন চিলোড়া বাজার থেকে শুরু করে আলিক্কামোড়া রাজেশপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজে গাফিলতি আর কাজের ধীরগতির অভিযোগ ওঠেছে মেসার্স মিজানুর রহমান সোহাগ নামের ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , ১২ মাস আগে শুরু হয় রাস্তার কাজ। আজ দীর্ঘ ৮ মাস ধরে রাস্তা নিথর ভাবে পড়ে আছে । ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা রাস্তার খোজ নিচ্ছে না। এদিকে খানাখন্দ ও দুলবালু ভরা সড়ক দুর্ভোগে পড়ছেন জনসাধারণ।

চিলোড়া বাজার থেকে শুরু করে আলিক্কা মোড়া, বাজিত পুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ২০/২৫ হাজার পরিবারের বসবাস ওখানে। স্থানীয়দের ভালো কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় এই পথ ব্যবহার করে চান্দিনা সদরে আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।

রাস্তার কাজ বন্ধ কেন এমন প্রশ্নে স্থানীয় মুরব্বি জানান , চিলোড়া রাস্তাটি কেন কাজ বন্ধ রাখছে আমরা জানিনা তবে এ বিষয়ে আমরা কিছু জান্তে পারিনি। স্থানীয় অটো-মিশূক ড্রাইভার মো হোসেন আলীর ছেলে মো ফয়েজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন , আমরা অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। রাস্তা অস্বাভাবিক ভাবে অনেকটা ভাংঙা ও দূলবালু।
আমরা সারাক্ষণ অটো রিকশা চালাই রাত হলে আর ব্যাথায় ঘুমাইতে পারি না কয়েক দিন পর পর অটো মিশুক গাড়ির কাজ করাইতে হয় দিন শেষে আমরা বাজার নিয়ে বাসয় যাইতে পারিনা দ্রুত কাজটি সম্পূর্ণ হলে যাতায়াতে সূবিধ পাব।
স্থানীয় পথচারী জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে চলাচল করি। এ রাস্তা দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় অস্বাভাবিক দূলবালু স্বাস্থঝুকি নিয়ে আমাদের এ রোডে চলাফেরা করতে হয়। চিলোড়া থেকে চান্দিনা অনেকটা দুরের পথ। হেটে আসা যাওয়া সম্ভব নয়। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত চান্দিনা সদরে আসা সম্ভব হয় না। আর যারা কাজ করছেন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আসেন। আমরা তাদের কে রাস্তার কাজের বিষয়ে কিছু বললে আমাদের কোন পাত্তায় দেন না। জানাযায় আগামী মার্চে কাজটি শেষ হওয়ার কথা তারপরও এই রাস্তার কাজ দীর্ঘ দিন যাবত বন্ধ।

জানা যায়, এই রাস্তার কাজ গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক মাস কাজ চলার পর ৮ মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।এ যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাইজখার ইউনিয়ন ও আশপাশ এলাকার হাজারো মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে আসা যাওয়া করে। চলে হাজারো ছোট বড় যানবাহন। কিন্তু চিলোড়া থেকে আলিক্কা মোড়া, বাজিতপুর এই রাস্তায় যানবাহনে চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য চলাচলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। আর পায়ে হেঁটে চলাচল পথচারীদের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। সচেতনমহল বলছেন রাস্তার এই ধীরগতির কাজের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান সোহাগ জানান , আমরা রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আপাতত কিছুদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে পূনরায় কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান ,২০২৩/২০২৪ অর্থবছের কাজ মেয়াদ উওির্ন হওয়ায় জরিমানা সহ হিসাব দিয়ে রাস্তার কাজ বাতিল করা হয়ছে। মেসার্স মিজানুর রহমান সোহাগ ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ দিন কাজটি ফেলে রাখায় শাস্তিমূলক ভাবে ঠিকাদারের কাজ বাতিল করা হয়েছে। অবশিষ্ট কাজের প্রক্কালন করে পূর্ন কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে জেলাতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি পূনরায় দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চান্দিনায় রাস্তার কাজে অনিয়ম স্বাস্থ্যঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০২:২৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলা ৯ নং মাইজখার ইউনিয়ন চিলোড়া বাজার থেকে শুরু করে আলিক্কামোড়া রাজেশপুর পর্যন্ত রাস্তার কাজে গাফিলতি আর কাজের ধীরগতির অভিযোগ ওঠেছে মেসার্স মিজানুর রহমান সোহাগ নামের ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় , ১২ মাস আগে শুরু হয় রাস্তার কাজ। আজ দীর্ঘ ৮ মাস ধরে রাস্তা নিথর ভাবে পড়ে আছে । ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা রাস্তার খোজ নিচ্ছে না। এদিকে খানাখন্দ ও দুলবালু ভরা সড়ক দুর্ভোগে পড়ছেন জনসাধারণ।

চিলোড়া বাজার থেকে শুরু করে আলিক্কা মোড়া, বাজিত পুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রায় ২০/২৫ হাজার পরিবারের বসবাস ওখানে। স্থানীয়দের ভালো কোন বিকল্প সড়ক না থাকায় এই পথ ব্যবহার করে চান্দিনা সদরে আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।

রাস্তার কাজ বন্ধ কেন এমন প্রশ্নে স্থানীয় মুরব্বি জানান , চিলোড়া রাস্তাটি কেন কাজ বন্ধ রাখছে আমরা জানিনা তবে এ বিষয়ে আমরা কিছু জান্তে পারিনি। স্থানীয় অটো-মিশূক ড্রাইভার মো হোসেন আলীর ছেলে মো ফয়েজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন , আমরা অত্যন্ত ঝুকির মধ্যে যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। রাস্তা অস্বাভাবিক ভাবে অনেকটা ভাংঙা ও দূলবালু।
আমরা সারাক্ষণ অটো রিকশা চালাই রাত হলে আর ব্যাথায় ঘুমাইতে পারি না কয়েক দিন পর পর অটো মিশুক গাড়ির কাজ করাইতে হয় দিন শেষে আমরা বাজার নিয়ে বাসয় যাইতে পারিনা দ্রুত কাজটি সম্পূর্ণ হলে যাতায়াতে সূবিধ পাব।
স্থানীয় পথচারী জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমরা অত্যন্ত ঝুকি নিয়ে চলাচল করি। এ রাস্তা দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকায় অস্বাভাবিক দূলবালু স্বাস্থঝুকি নিয়ে আমাদের এ রোডে চলাফেরা করতে হয়। চিলোড়া থেকে চান্দিনা অনেকটা দুরের পথ। হেটে আসা যাওয়া সম্ভব নয়। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত চান্দিনা সদরে আসা সম্ভব হয় না। আর যারা কাজ করছেন তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী আসেন। আমরা তাদের কে রাস্তার কাজের বিষয়ে কিছু বললে আমাদের কোন পাত্তায় দেন না। জানাযায় আগামী মার্চে কাজটি শেষ হওয়ার কথা তারপরও এই রাস্তার কাজ দীর্ঘ দিন যাবত বন্ধ।

জানা যায়, এই রাস্তার কাজ গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক মাস কাজ চলার পর ৮ মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে।এ যেন গা-ছাড়া দিয়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাইজখার ইউনিয়ন ও আশপাশ এলাকার হাজারো মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করে আসা যাওয়া করে। চলে হাজারো ছোট বড় যানবাহন। কিন্তু চিলোড়া থেকে আলিক্কা মোড়া, বাজিতপুর এই রাস্তায় যানবাহনে চলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক যাত্রীদের। বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য চলাচলে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে তো কথায় নেই। আর পায়ে হেঁটে চলাচল পথচারীদের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। সচেতনমহল বলছেন রাস্তার এই ধীরগতির কাজের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান সোহাগ জানান , আমরা রাস্তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আপাতত কিছুদিন ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে পূনরায় কাজ শুরু হয়ে যাবে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম জানান ,২০২৩/২০২৪ অর্থবছের কাজ মেয়াদ উওির্ন হওয়ায় জরিমানা সহ হিসাব দিয়ে রাস্তার কাজ বাতিল করা হয়ছে। মেসার্স মিজানুর রহমান সোহাগ ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ দিন কাজটি ফেলে রাখায় শাস্তিমূলক ভাবে ঠিকাদারের কাজ বাতিল করা হয়েছে। অবশিষ্ট কাজের প্রক্কালন করে পূর্ন কাজের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে জেলাতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি পূনরায় দ্রুত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে।