ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

চাপাই সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিতের অভিযোগ

রাজশাহী ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত নারী কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১মে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদপ্তর সংস্থাপন শাখার উপ পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় খাদ্য  নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেছেন আতাউর রহমান।
বদলি আদেশ পাওয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ গত ৯ মে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর আমনুরা এলএসডি খাদ্য গুদামে প্রবেশ করতে চাইলে খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন খাদ্য গুদামে প্রবেশের কারণ জানতে চাওয়া মাত্রই খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক গুদামে প্রবেশ করে। তিনি অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে বাধা প্রদান করে। এরপর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খবর দেন। খবর পেয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেন।
এদিকে একজন নারী কর্মকর্তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত ও অন্যায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করায় বিষয়টি টক অব দি চাপাইনবাবগঞ্জে পরিনত হয়েছে। একজন পুরুষ কর্মকর্তা হয়ে আরেক নারী কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতের ঘটনাটি জানা জানি হলে জেলায় কর্মরত নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভিযুক্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এঘটনায় খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন বলেন, বদলি আদেশপ্রাপ্ত  খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ শুক্রবার বিকেলে খাদ্য গুদামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে প্রবেশ করার কারন জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার স্পর্শকাতর জায়গায় ধাক্কা মেরে বাহিরে বের করে দেন। তার অন্যত্র  বদলী হওয়ার পরেও অধিদপ্তরের আদেশ প্রতি পালন না করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এখানেই থাকতে চান। বিষয়টি আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে জানিয়েছি।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্য নয়। তদন্ত কমিটি আমাকে তলব করেছেন সেখানেই আছি। এবিষয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি ডিজি মহোদয়সহ আমরা অবগত আছি। বগুড়া জেলা ডিসি ফুডকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট করলে তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাপাই সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিরুদ্ধে নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিতের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আমনুরা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত নারী কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিনকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গত ১মে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে খাদ্য অধিদপ্তর সংস্থাপন শাখার উপ পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় খাদ্য  নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তার স্থলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করেছেন আতাউর রহমান।
বদলি আদেশ পাওয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ গত ৯ মে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর আমনুরা এলএসডি খাদ্য গুদামে প্রবেশ করতে চাইলে খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন খাদ্য গুদামে প্রবেশের কারণ জানতে চাওয়া মাত্রই খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক গুদামে প্রবেশ করে। তিনি অফিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জোর করে নিয়ে যেতে চাইলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদকে বাধা প্রদান করে। এরপর গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খবর দেন। খবর পেয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহম্মেদ ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র উদ্ধার করেন।
এদিকে একজন নারী কর্মকর্তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত ও অন্যায় অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করায় বিষয়টি টক অব দি চাপাইনবাবগঞ্জে পরিনত হয়েছে। একজন পুরুষ কর্মকর্তা হয়ে আরেক নারী কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিতের ঘটনাটি জানা জানি হলে জেলায় কর্মরত নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অভিযুক্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এঘটনায় খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেশমা ইয়াসমিন বলেন, বদলি আদেশপ্রাপ্ত  খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ শুক্রবার বিকেলে খাদ্য গুদামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে প্রবেশ করার কারন জিজ্ঞেস করা মাত্রই আমার স্পর্শকাতর জায়গায় ধাক্কা মেরে বাহিরে বের করে দেন। তার অন্যত্র  বদলী হওয়ার পরেও অধিদপ্তরের আদেশ প্রতি পালন না করে নিয়ম বর্হিভূতভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এখানেই থাকতে চান। বিষয়টি আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্যারকে জানিয়েছি।
এমন অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক জান মোহাম্মদ মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি সত্য নয়। তদন্ত কমিটি আমাকে তলব করেছেন সেখানেই আছি। এবিষয়ে আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, বিষয়টি ডিজি মহোদয়সহ আমরা অবগত আছি। বগুড়া জেলা ডিসি ফুডকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট করলে তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে।