ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ডামুড্যা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয় Logo `প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে’ Logo খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা, ঘটছে দূর্ঘটনা Logo ঝিনাইদহে তরুন শিক্ষার্থীদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও পলিথিন নিষিদ্ধ অভিযান Logo হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ঘোষণা Logo অফিস সময়ে রান্না পশ্চিমাঞ্চল রেলের কর্মচারীদরে, কাজে অনীহার অভিযোগ Logo তিতাসে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস স্কিমের আওতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ Logo কাঁঠালিয়া মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়ায় ভাই ভাবীকে পিটিয়ে জখম Logo গোমস্তাপুরে কৃতি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

চোরা শিকারিদের অবাধ বিচরণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুন্দরবনের বাঘ

মনির হোসেন, মোংলা
  • আপডেট সময় : ৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ সোমবার ২৯ জুলাই। বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইদিনে সারাবিশ্বে বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।
দিনটি উপলক্ষে মোংলায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মোংলা উপজেলা প্রশাসন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হবে। এছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে আলাদা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
বাঘকে সুরক্ষিত রাখতে ২০১০ সালে দিবসটি পালনের সূচনা হয়। ওই বছর বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ওই সময় বাঘের আবাসস্থল খ্যাত বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ একটি ঘোষণাপত্র জারি করে। ঘোষণাপত্রে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিটি দেশ বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয়। তার মধ্যে নেপাল তাদের টার্গেট পূরণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সে লক্ষ্য থেকে দূরে আছে। অথচ রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এটি বাঘের একটি বিশেষ প্রজাতি। এশিয়ার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বৃহত্তম আবাসভূমি হচ্ছে সুন্দরবন। কিন্তু অনিরাপদ আবাসস্থল, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাবারের অভাব, বাঘভীতিসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে দেশে প্রথম বাঘশুমারি হয়। ওই সময় সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘ ছিল। এরপর ১৯৮২ সালের জরিপে ৪২৫টি, ১৯৯২ সালে ৩৫৯টি, ১৯৯৩ সালে ৩৬২টি এবং ২০০৪ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। তবে ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাঘের জন্য কোনো উপযুক্ত জায়গা থাকবে না। সুন্দরবনে শিকারিদের অবাধ বিচরণ ও আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। এ অবস্থায় হারিয়ে যেতে পারে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চোরা শিকারিদের অবাধ বিচরণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সুন্দরবনের বাঘ

আপডেট সময় :

আজ সোমবার ২৯ জুলাই। বিশ্ব বাঘ দিবস। বাঘের প্রাকৃতিক আবাসস্থল রক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এইদিনে সারাবিশ্বে বিশ্বে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।
দিনটি উপলক্ষে মোংলায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মোংলা উপজেলা প্রশাসন এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে শিশু চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হবে। এছাড়াও আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে আলাদা কর্মসূচি পালন করবে বলে জানা গেছে।
বাঘকে সুরক্ষিত রাখতে ২০১০ সালে দিবসটি পালনের সূচনা হয়। ওই বছর বাঘ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ওই সময় বাঘের আবাসস্থল খ্যাত বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ একটি ঘোষণাপত্র জারি করে। ঘোষণাপত্রে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিটি দেশ বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দেয়। তার মধ্যে নেপাল তাদের টার্গেট পূরণ করেছে। ভারত এবং ভুটানও বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণের কাছাকাছি নিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও সে লক্ষ্য থেকে দূরে আছে। অথচ রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের জাতীয় পশু। এটি বাঘের একটি বিশেষ প্রজাতি। এশিয়ার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বৃহত্তম আবাসভূমি হচ্ছে সুন্দরবন। কিন্তু অনিরাপদ আবাসস্থল, শিকারিদের দৌরাত্ম্য, খাবারের অভাব, বাঘভীতিসহ বিভিন্ন কারণে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন প্রজাতির বাঘের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালে দেশে প্রথম বাঘশুমারি হয়। ওই সময় সুন্দরবনে ৩৫০টি বাঘ ছিল। এরপর ১৯৮২ সালের জরিপে ৪২৫টি, ১৯৯২ সালে ৩৫৯টি, ১৯৯৩ সালে ৩৬২টি এবং ২০০৪ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। তবে ২০১৫ সালে বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৪টি। চার বছর পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ক্যামেরা ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।
এদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০৭০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাঘের জন্য কোনো উপযুক্ত জায়গা থাকবে না। সুন্দরবনে শিকারিদের অবাধ বিচরণ ও আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে হুমকির মুখে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বাড়ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। এ অবস্থায় হারিয়ে যেতে পারে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার।