ছাত্র রাজনীতির পথ বেয়ে নেতৃত্বের শিখরে এমএ মতিন

- আপডেট সময় : ৬২ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের সরল পথ পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসা একজন সংগ্রামী, সৎ ও আদর্শনিষ্ঠ নেতার নাম এম এ মতিন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কেবল পদ-পদবির গল্প নয়, এটি এক সংগ্রামের ইতিহাস যেখানে প্রত্যয়, ত্যাগ, আদর্শ এবং নেতৃত্ব মিলেমিশে সৃষ্টি করেছে এক অনন্য রাজনীতিকের পাণ্ডুলিপি।
ছাত্র রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে যে পথচলা শুরু, তা অচিরেই জাতীয় রাজনীতির বড় মঞ্চে পৌঁছায়। ছাত্রজীবনের সেই আগুনঝরা দিনগুলোতে মতিন ছিলেন রাজপথের সাহসী কণ্ঠস্বর। যেখানে জেল-জুলুম, মিথ্যা মামলা, নিপীড়ন ছিল প্রতিদিনের সঙ্গী, সেখানে তিনি ছিলেন আপসহীন ও দৃঢ় মনোবলের প্রতীক।
একজন সাধারণ কৃষকের ঘরে জন্ম নেওয়া মতিনের ভিতর ছিল অসাধারণ সাহস, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম। প্রতিকূলতাকে জয় করে ঢুকে পড়েন দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেইখানেই রাজনীতির প্রকৃত পাঠ গ্রহণ করেন, ছাত্রদলের নেতৃত্বে উঠে আসেন একজন তরুণ আইকন হিসেবে।
তিনি শুধু নেতৃত্বই দেননি, ছাত্র রাজনীতিকে দিয়েছেন শৃঙ্খলা, আদর্শ ও সংগঠনের প্রাণ। তাঁর নেতৃত্বে ঢাবি ছাত্রদল ফিরে পায় হারানো গতি ও গৌরব। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, মাঠে নেতৃত্ব, কর্মীর প্রতি ভালোবাসা তাঁকে ছাত্ররাজনীতির কিংবদন্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
রাজপথের লড়াই থেকে শুরু করে আজকের বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এই দীর্ঘ পথচলায় কখনও হার মানেননি এম এ মতিন।
মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, নিপীড়নের মুখেও অটল থেকেছেন দলের প্রতি ভালোবাসায়। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি এই নিষ্ঠা ও ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অগাধ আস্থা।
প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিক হিসেবে মতিন এখন মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তাঁর নেতৃত্বে মান্দা বিএনপি পেয়েছে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও নতুন দিকনির্দেশনা। ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পুনর্গঠন, নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি গড়ে তুলছেন একটি আদর্শিক ও সুসংগঠিত দল।
তাঁকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছে উদ্দীপনা। তাঁর নেতৃত্ব মান্দার রাজনীতিকে আবারো রাজপথমুখী, আদর্শনির্ভর এবং গণমানুষের জন্য নিবেদিত করে তুলেছে।
চলমান রাজনৈতিক গতিপ্রবাহের মধ্যেও মতিন নিজেকে প্রস্তুত করেছেন বড় দায়িত্বের জন্য। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসন থেকে তিনি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন, যেখানে তিনি জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভিত্তিতে বেশ এগিয়ে।
জনগণের আশা, তরুণদের ভরসা ও তৃণমূল কর্মীদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন এম এ মতিন।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এম এ মতিনের নামটি আজ একটি আস্থার প্রতীক। তাঁর সংগ্রামী জীবন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, এবং অকৃত্রিম দলের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী এক নেতা।
তিনি কেবল মান্দা বিএনপির নেতা নন, বরং জাতীয় রাজনীতির আগামী দিনের পথপ্রদর্শক। তাঁর নেতৃত্বে দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও রাজনৈতিক চেতনার বাতি প্রজ্বলিত হোক, এমনটাই প্রত্যাশা তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত।
এম এ মতিন এই নামেই রাজনীতির পরবর্তী সূর্যোদয়ের গল্প রচিত হচ্ছে।