ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দিনাজপুরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ এর উদ্যোগে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ Logo একটি দল নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে : মামুনুল হক Logo নাটোরে ৭ দিনব্যাপী ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারী গ্রেফতার Logo মাদকের বিনিময়ে বাংলাদেশী পণ্য সামগ্রী পাচারকালে ৯ চোরাকারবারী আটক Logo ‘রাষ্ট্র অন্যায়ভাবে আদিবাসীদেরকে ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’ বলে” Logo টেকনাফে ইয়াবাসহ আটক ১ Logo বিদ্যুৎ বিল বকেয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা Logo শেরপুরে আন্ডারপাস ব্রীজের নিচ থেকে অবৈধ ব্যবসা উচ্ছেদ Logo কুয়াকাটায় যুবদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

লোহাগড়ায় জব্দকৃত বালু পাচারের নেপথ্যে কারণ কি!

জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরবতায়, উদ্বিগ্ন সচেতন মহল

দেলোয়ার হোসেন রশিদি, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
  • আপডেট সময় : ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর কুলপাগলী চড়ার গহীনে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে অবৈধ বালু তোলার কারণে উপজেলা প্রশাসন সরেজমীনে সম্প্রতি গত ১০ই অক্টোম্বর উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করে বালুর স্তুপে লাল সংকেত চিহ্ন পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে উপজেলা প্রশাসন।
কিন্তু বালুগুলো নিলাম না হওয়ায় অদৃশ্যভাবে রাতের আধারে লুকোচুরি করে বালুগুলো পাচার করতে থাকে একটি সিন্ডিকেট। তাই এনিয়ে “জব্দকৃত বালু উধাও: রাতের আধারে প্রাচার” সিরোনামে জাতীয় ও স্থানীয়: প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাহা কয়েকদিন নিরব থাকার পর আইন প্রয়োগকারী কোন আইনী ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে বালুখেকোরা ২৩ নভেম্বর রাতব্যাপী সাড়ে তিন হাজার ঘন ফুট বালু নিয়ে যায়।
২৫ই নভেম্বর সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় উত্তোলনকৃত বালুর স্তুপে লাল পতাকা সতর্ক চিহ্ন নাই এবং জব্দকৃত বালু উধাও হয়ে যায় এবং সেখানে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতভর ড্যাম্পার, ট্রাক, বালু বোজাই গাড়ি রাস্তায় দিয়ে চলাচলের কারনেই অতিষ্ঠে ঘুম পর্যন্ত যেতে পারিনাই।
তাঁরা আরো জানান, বালু ও মাটি পাচারে কারনে আমাদের গ্রামীণ সড়ক গুলো কাদা, বড় বড় গর্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে ও দেখার কেউ নেই। তারা এতটা সন্ত্রাসী যে, প্রতিবাদ করতে সাহস করছে না কেউ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, টোকাই মিজান বিভিন্ন আড়ালে সিন্ডিকেট করে বালু মাটি বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে থাকে। আবার সে বিভিন্ন এজেন্সি ও সোর্সের মাধ্যমে কু-কৌশলে আইনী থেকে বাদ পড়ে যায়। সচেতন মহল মনে করে, প্রশাসন জব্দ কৃত বালু নিলাম না দিলে জব্দ করেছে কেন প্রশ্ন সবার। আবার কিছু জড়িত গডফাদার বাহিরে রেখে মামলা দায়ের হওযার পর কিভাবে সরকারি বালু পাচার করে নিয়ে যায় বুঝে আসেনা। এ ব্যপারে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নজরদারী দাবি করেন তারা। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি মং এছেন বলেন, এখনই শুনেছি বালু প্রাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

লোহাগড়ায় জব্দকৃত বালু পাচারের নেপথ্যে কারণ কি!

জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরবতায়, উদ্বিগ্ন সচেতন মহল

আপডেট সময় :

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর কুলপাগলী চড়ার গহীনে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটিয়ে অবৈধ বালু তোলার কারণে উপজেলা প্রশাসন সরেজমীনে সম্প্রতি গত ১০ই অক্টোম্বর উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করে বালুর স্তুপে লাল সংকেত চিহ্ন পতাকা টাঙ্গিয়ে দেয়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আট জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে উপজেলা প্রশাসন।
কিন্তু বালুগুলো নিলাম না হওয়ায় অদৃশ্যভাবে রাতের আধারে লুকোচুরি করে বালুগুলো পাচার করতে থাকে একটি সিন্ডিকেট। তাই এনিয়ে “জব্দকৃত বালু উধাও: রাতের আধারে প্রাচার” সিরোনামে জাতীয় ও স্থানীয়: প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাহা কয়েকদিন নিরব থাকার পর আইন প্রয়োগকারী কোন আইনী ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে বালুখেকোরা ২৩ নভেম্বর রাতব্যাপী সাড়ে তিন হাজার ঘন ফুট বালু নিয়ে যায়।
২৫ই নভেম্বর সকালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় উত্তোলনকৃত বালুর স্তুপে লাল পতাকা সতর্ক চিহ্ন নাই এবং জব্দকৃত বালু উধাও হয়ে যায় এবং সেখানে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতভর ড্যাম্পার, ট্রাক, বালু বোজাই গাড়ি রাস্তায় দিয়ে চলাচলের কারনেই অতিষ্ঠে ঘুম পর্যন্ত যেতে পারিনাই।
তাঁরা আরো জানান, বালু ও মাটি পাচারে কারনে আমাদের গ্রামীণ সড়ক গুলো কাদা, বড় বড় গর্ত হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে ও দেখার কেউ নেই। তারা এতটা সন্ত্রাসী যে, প্রতিবাদ করতে সাহস করছে না কেউ।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, টোকাই মিজান বিভিন্ন আড়ালে সিন্ডিকেট করে বালু মাটি বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে থাকে। আবার সে বিভিন্ন এজেন্সি ও সোর্সের মাধ্যমে কু-কৌশলে আইনী থেকে বাদ পড়ে যায়। সচেতন মহল মনে করে, প্রশাসন জব্দ কৃত বালু নিলাম না দিলে জব্দ করেছে কেন প্রশ্ন সবার। আবার কিছু জড়িত গডফাদার বাহিরে রেখে মামলা দায়ের হওযার পর কিভাবে সরকারি বালু পাচার করে নিয়ে যায় বুঝে আসেনা। এ ব্যপারে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নজরদারী দাবি করেন তারা। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি মং এছেন বলেন, এখনই শুনেছি বালু প্রাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।