ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জেসমিন প্রকল্পের উদ্যোগে নারী-পুরুষের সমতা সম্পর্ক বিষয়ক প্রচারণা Logo জর্ডানে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা Logo গাজায় একদিনে আরও ৪৪ জনকে হত্যা ইসরায়েলের Logo পেশা ছেড়ে দিচ্ছে লবণচাষীরা Logo ঝিনাইদহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট Logo ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo বগুড়ায় নুর আলম হত্যা মামলার আসামি বার্মিজ চাকুসহ গ্রেপ্তার Logo সোনাইমুড়ীতে প্রবাসীর বিধবা স্ত্রীর ৮০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo তিতাসে মোহনপুর দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা  Logo গোয়াল ঘরে দূর্বত্তরদের আগুন, ৩টি গরু পুড়ে ছাই

জনবল সংকটের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নজরুল ইসলাম, বড়লেখা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৬৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হাসপাতাল ভবন আছে, আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সংকট থাকার কা ণে অনেককে বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাতে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এলাকাবাসী।

এই চিত্র মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতালের। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক এবং নার্সসহ যে জনবল থাকার কথা তার অর্ধেকও নেই। চিকিৎসক সঙ্কট থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা বড়লেখার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারের পোস্ট রয়েছে মোট ১৪টি। অথচ আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ এই মূহুর্তে আছেন মাত্র ৪ জন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১১জন।

এই স্বল্প জনবল নিয়েই ৫০শয্যার কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের বহি: বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকেন এবং অন্ত: বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়।

চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের ও সেবায় হাত লাগাতে হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য আউটসোর্সিংয়ে জনবল থাকলেও তা একটি ৫০ শয্যা হাসপাতাল মানসম্মতভাবে পরিস্কার রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। তার উপরে ৫ মাস ধরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। যে কারণে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

নাজমুল হোসেন নামে এক রোগী জানান, হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে বর্তমানে এক্সরে করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের বিপরীতে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকে রোগীরা।

সামগ্রিক ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে। মানুষের কাঙ্খিত সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেয়া সম্ভব তা আমাদের ডাক্তার নার্সরা রোগীদের দিচ্ছেন। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জনবল সংকটের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

হাসপাতাল ভবন আছে, আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। চিকিৎসক সংকট থাকার কা ণে অনেককে বেসরকারি ক্লিনিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাতে অর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন এলাকাবাসী।

এই চিত্র মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতালের। হাসপাতালটিতে চিকিৎসক এবং নার্সসহ যে জনবল থাকার কথা তার অর্ধেকও নেই। চিকিৎসক সঙ্কট থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে আসা বড়লেখার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ২লক্ষ ৮২ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

সরেজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারের পোস্ট রয়েছে মোট ১৪টি। অথচ আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ এই মূহুর্তে আছেন মাত্র ৪ জন। সিনিয়র স্টাফ নার্সের ২৫টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ১১জন।

এই স্বল্প জনবল নিয়েই ৫০শয্যার কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। হাসপাতালের বহি: বিভাগে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ রোগী সেবা নিয়ে থাকেন এবং অন্ত: বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। বর্তমানে রোগীদের সেবা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়।

চিকিৎসক সংকটের কারণে হাসপাতালের আউটডোরে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসারদের ও সেবায় হাত লাগাতে হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য আউটসোর্সিংয়ে জনবল থাকলেও তা একটি ৫০ শয্যা হাসপাতাল মানসম্মতভাবে পরিস্কার রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। তার উপরে ৫ মাস ধরে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বেতন পাচ্ছেন না। যে কারণে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

নাজমুল হোসেন নামে এক রোগী জানান, হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকার কারণে বর্তমানে এক্সরে করা যাচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের বিপরীতে জেনারেটর থাকলেও তেল বরাদ্দ নেই। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে থাকে রোগীরা।

সামগ্রিক ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রত্নদীপ বিশ্বাস জানান, বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে। মানুষের কাঙ্খিত সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি। সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সেবা দেয়া সম্ভব তা আমাদের ডাক্তার নার্সরা রোগীদের দিচ্ছেন। জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।