জবিতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে একা লড়ছেন আকাশ

- আপডেট সময় : ১৭ বার পড়া হয়েছে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ও জকসুর রোডম্যাপের দাবিতে অনড় এবং লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান আকাশ।
গত রোববার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভাবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় তাকে।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশের নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তার সহযোগী আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি ছেড়ে চলে গেলেও গত দুইদিন ধরে একাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন তিনি।
আবাসন সংকটের ভয়াবহতা তুলে ধরে আশিকুর রহমান আশিক বলেন, জবির ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী সকালে ঠিকমতো কিছু খেতেও পারেন না। পুরানো ঢাকায় বসবাসের কারণে তাদের প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়, যা টিউশন বা অন্যান্য মাধ্যমে সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। অনেক জুনিয়র শিক্ষার্থী দু’বেলা খাবারও ঠিকমতো খেতে পারেন না এবং দূরদূরান্ত থেকে এসে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে তাদের জীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেক শিক্ষার্থী জগন্নাথে ভর্তি হওয়ার পর তা চালাতে না পেরে গ্রামের কলেজে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রশাসনের বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রশাসন আবাসন সমস্যা নিরসনে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। পূর্বে প্রশাসন ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত তারা সুস্পষ্ট কোনো প্রক্রিয়া বা তথ্য জানায়নি। কে এই সুবিধা পাবে, কত টাকা দেওয়া হবে, বা কোন প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে এসব বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ঘোষণা নেই।
তিনি আক্ষেপ করেন যে, প্রশাসনের জায়গা থেকে এই বিষয়গুলো আমরা বসার আগে আমরা বলার আগে স্পষ্ট করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল।
প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো কাজ তারা করতে পারে নাই যার কারণে বলতে পারে যে প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব। শিক্ষার্থীদের মানবিক জীবনযাপন নিয়ে প্রশাসনের আসলে কোনো ‘চিন্তা ফিকেন নাই’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন,শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আমি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এইটা না আদায় হওয়া পর্যন্ত যদি আমার একা একাও বসে থাকতে হয় আমি বসে থাকবো ইনশাআল্লাহ। উনারা যদি এটা কর্ণপাত না করেন তাহলে আমি কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হব।
এছাড়াও তিনি জকসুর রোড ম্যাপ ঘোষণা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।