জয়পুরহাটে চার কলেজে সবাই ফেল
- আপডেট সময় : ৪৫ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটে চার কলেজে সবাই ফেল। এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে জয়পুরহাট জেলার ৪টি কলেজে একজনও পাস করতে পারেনি। এছাড়া ও জেলার মোট পাসের হারও বিভাগীয় গড় থেকে অনেক কম।
গত শনিবার (১৮ অক্টোবর-২০২৫) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন (ভারপ্রাপ্ত) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলার চার কলেজের কেউ পাস না করার কারণ জানতে চাইলে জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, এর কারণ আমি বলতে পারবোনা, এটা মন্ত্রনালয় জানে, একই প্রশ্নে যখন তাকে বলা হয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় জয়পুরহাটের শিক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে আগে জানবেনা,এখানে শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে আপনি আছেন সুতরাং বিষয়টি আগে আপনার জানার কথা। এবার এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চার কলেজের সবাই ফেল করার কারণ জানতে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।তারা জানালে আমি বলতে পারবো ফেল কারার পেছনের আসল কারণ কি? ফলাফলে এমন চরম ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে জেলার সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৯, আলহেরা একাডেমি অ্যান্ড কলেজের ৬ , জেলার কালাই উপজেলার মোলামগারীহাট কলেজের ৩ এবং রতনপুর কলেজের ৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিলেও সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
শিক্ষা অফিসের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মোট পাশের হার ৮১ দশমিক ২ শতাংশ হলেও জয়পুরহাট জেলায় পাশের হার মাত্র ৫৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, যা বিভাগীয় গড়ের তুলনায় অনেক কম। এবার এ জেলার ১২টি কেন্দ্রে মোট ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, এ ফলাফল শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং এটা পুরো জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়েও বড় প্রশ্ন দেখাদিয়েছে। তারা মনে করেন, ক্লাসে শিক্ষকদের উপস্থিতি ও পাঠদানের মান নিশ্চিত না হলে ভবিষ্যতে এই ধারা আরও ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে ।
নাম না বলার শর্তে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী বলেন, শুধু জয়পুরহাটেই নয় দেশব্যাপী শিক্ষার গুনগত মানোন্নয়নে যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠন নাম সর্বস্ব, আর প্রাইভেট-কোচিং যাদের মূল ব্যবসা এই সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া খুবি জরুরী বলে মনে করেন তারা।




















