ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ই-অরেঞ্জের সিইও আমান উল্লাহ দুই দিনের রিমান্ডে Logo নবীনগরে কৃষক দলের ওয়ার্ড সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo ডামুড্যায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সড়কের খানাখন্দ মেরামত Logo ঋণ নয়, ক্ষতিপূরণের দাবিতে পাথরঘাটায় সাইকেল র‍্যালি Logo বৈষম্য- অনিয়ম দূর করে দেশে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করাই এ সরকারের লক্ষ্য: স্বরাষ্ট্র  উপদেষ্টা Logo সরিষাবাড়ীতে নদীর গর্ভে যাচ্ছে মন্দির ও মহাশ্মশান রক্ষার্থে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  Logo নগরকান্দায় উচ্ছেদ অভিযানের মধ্য দিয়ে দখল মুক্ত হলো কুমার নদ Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস ও চেক বিতরণ Logo দাউদকান্দিতে ড. মোশারফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিনব্যাপী ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo অনিয়মই যেখানে নিয়ম

জয়পুরহাটে নকল বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত

মোঃ জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ ২৭৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে প্রতারিত হন স্থানীয় কৃষকরা। রোপা আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডার থেকে কালাই উপজেলার মুড়াইল এলাকার কয়েকজন কৃষক।

ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের ১৮ একর জমির ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।

কৃষকরা জানান, তারা প্রায় ১৮ একর জমিতে নয়ন সীডের সুগন্ধী হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের ডিলার আশিক বীজ ভান্ডার থেকে বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছেন।

ধানের ফলনের আগ মুহূর্তে প্রায় ১৮ একর জমির ধানের কুশিতে ভিন্নতা খুঁজে পায় কৃষকরা। এ অবস্থায় কালাই উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করে ভেজাল বীজের কারণে এমন পরিস্থিতির বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এমদাদুল হক, নুর মোহাম্মদ, বকুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের কাছ থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।

বীজ ডিলার আব্দুল আলীম বলেন, সমস্যা হতেই পারে, বীজ তো আর আমরা তৈরি করিনা, এটা কোম্পানি থেকে আসে। অভিযোগকারী কৃষক ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণাপন্ন হলে তিনি দু’পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, বেশ কয়েকজন কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরে জমিনে গিয়ে এর সত্যতা পান। ভেজাল বীজের কারনে ফলনে বিপর্যয় দেখা গেছে। একই গোছার ভিন্ন-ভিন্ন কুশিতে ধানের ভিন্ন-ভিন্ন স্টেজ লক্ষ্য করা যায়। ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। বীজ ডিলার আমার উপজেলার আওতায় না হওয়ায় বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে নকল বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে নকল ধান বীজ কিনে প্রতারিত হন স্থানীয় কৃষকরা। রোপা আমন মৌসুমে ভালো ফলনের আশায় জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডার থেকে কালাই উপজেলার মুড়াইল এলাকার কয়েকজন কৃষক।

ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের ১৮ একর জমির ফসলের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।

কৃষকরা জানান, তারা প্রায় ১৮ একর জমিতে নয়ন সীডের সুগন্ধী হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। উপজেলার নিশ্চিন্তা বাজারের ডিলার আশিক বীজ ভান্ডার থেকে বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।

এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতাও খুঁজে পেয়েছেন।

ধানের ফলনের আগ মুহূর্তে প্রায় ১৮ একর জমির ধানের কুশিতে ভিন্নতা খুঁজে পায় কৃষকরা। এ অবস্থায় কালাই উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে সরেজমিনে জমি পরিদর্শন করে ভেজাল বীজের কারণে এমন পরিস্থিতির বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এমদাদুল হক, নুর মোহাম্মদ, বকুলসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, নিশ্চিন্তা বাজারের আশিক বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল আলীমের কাছ থেকে নয়ন সীডের সুগন্ধি হাইব্রিড বীজ ধান কিনেছিলেন তারা।

বীজ ডিলার আব্দুল আলীম বলেন, সমস্যা হতেই পারে, বীজ তো আর আমরা তৈরি করিনা, এটা কোম্পানি থেকে আসে। অভিযোগকারী কৃষক ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শরণাপন্ন হলে তিনি দু’পক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুন চন্দ্র রায় বলেন, বেশ কয়েকজন কৃষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরে জমিনে গিয়ে এর সত্যতা পান। ভেজাল বীজের কারনে ফলনে বিপর্যয় দেখা গেছে। একই গোছার ভিন্ন-ভিন্ন কুশিতে ধানের ভিন্ন-ভিন্ন স্টেজ লক্ষ্য করা যায়। ভেজাল বীজের কারনে ১২ জন কৃষকের প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। বীজ ডিলার আমার উপজেলার আওতায় না হওয়ায় বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।