ঢাকা ১১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাটে নিম্নমানের কাজে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু

মো. জহুরুল ইসলাম, জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় : ৯৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জয়পুরহাটে চিরি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণের পরই সেতুটি দেবে যাওয়াসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ঘসতে পারে। নতুন করে নির্মিত সেতুটি অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ফাটল ধরায় স্থানীয়রা মধ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তরজয়পুর এলাকায় চিরি নদীর ওপর ৬৫ ফিট সাবমারজেড ওয়্যার অ্যান্ড ফুট ওভার ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু করে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রফিক অ্যান্ড মীম ব্রাদার্স। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তত্ত্বাবধানে কাজটি শুরু হয়। কাজের ব্যয় ধরা হয় ৭২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের ৭ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি বুঝিয়ে নেন বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কাজ চলাকালীন সময়েও নিম্নমানের কাজের বিস্তর অভিযোগ তুলেছিল স্থানীয়রা। সে সময় স্থানীয়দের কথা তোয়াক্কা না করেই কাজ সমাপ্ত করেন ঠিকাদার ও বিএমডিএ। সেতুটি নির্মাণের পর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু মাটি হওয়ায় দেবে গেছে পিলার। এতে চরম ঝুঁকির মধ্যেই চলছে নদীর দুইপাড়ের হাজার হাজার মানুষ। নির্মাণের পর থেকেই থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়ে চলছে পারাপার। ফাটল ধরা সেতুটি যে কোনো সময় নদীতে ভেঙে পতে পারে বলে স্থানীয়দের আসংখ্যা। তাই তারা নতুন করে সেতুটি নির্মাণের দাবিই জানিয়েছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রফিক অ্যান্ড মীম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে বালু মাটিতে সেতুটি করা উচিত হয়নি। এই কাজের অভিজ্ঞতা আমাদেরও নেই, বরেন্দ্র অফিসেরও নেই। আমরা সেতুটি মেরামত করে দিতে চেয়েছি। কিন্তু কিছু স্থানীয় লোক নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করে দিতে বলছে। এটা কি সম্ভব? এ কাজের ৪৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করেছি, আরও বিল পাওনা আছে।’
জয়পুরহাট বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫২ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বিল দেওয়ার আগে নির্মাণে ক্রটির অভিযোগ আসে। এজন্য অবশিষ্ট বিল স্থগিত করে রাখা হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত তিনি কাজের ক্রটি সমাধান করবেন না, তত দিন পর্যন্ত বিল পাবেন না ঠিকাদার।
জয়পুরহাট বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আশেকুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণকাজে ঠিকাদারকে কোনো বিল দেওয়া হয়নি। সেতুটির দেবে যাওয়ার কারণে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেতু নির্মাণে কারও বিরুদ্ধে যদি গাফিলতি প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে নিম্নমানের কাজে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু

আপডেট সময় :

জয়পুরহাটে চিরি নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণের পরই সেতুটি দেবে যাওয়াসহ বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে হাজার হাজার মানুষ। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ঘসতে পারে। নতুন করে নির্মিত সেতুটি অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই ফাটল ধরায় স্থানীয়রা মধ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তরজয়পুর এলাকায় চিরি নদীর ওপর ৬৫ ফিট সাবমারজেড ওয়্যার অ্যান্ড ফুট ওভার ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু করে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রফিক অ্যান্ড মীম ব্রাদার্স। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) তত্ত্বাবধানে কাজটি শুরু হয়। কাজের ব্যয় ধরা হয় ৭২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। ২০২৪ সালের ৭ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি বুঝিয়ে নেন বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। কাজ চলাকালীন সময়েও নিম্নমানের কাজের বিস্তর অভিযোগ তুলেছিল স্থানীয়রা। সে সময় স্থানীয়দের কথা তোয়াক্কা না করেই কাজ সমাপ্ত করেন ঠিকাদার ও বিএমডিএ। সেতুটি নির্মাণের পর বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ফাটল। বালু মাটি হওয়ায় দেবে গেছে পিলার। এতে চরম ঝুঁকির মধ্যেই চলছে নদীর দুইপাড়ের হাজার হাজার মানুষ। নির্মাণের পর থেকেই থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়ে চলছে পারাপার। ফাটল ধরা সেতুটি যে কোনো সময় নদীতে ভেঙে পতে পারে বলে স্থানীয়দের আসংখ্যা। তাই তারা নতুন করে সেতুটি নির্মাণের দাবিই জানিয়েছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রফিক অ্যান্ড মীম ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এখানে বালু মাটিতে সেতুটি করা উচিত হয়নি। এই কাজের অভিজ্ঞতা আমাদেরও নেই, বরেন্দ্র অফিসেরও নেই। আমরা সেতুটি মেরামত করে দিতে চেয়েছি। কিন্তু কিছু স্থানীয় লোক নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করে দিতে বলছে। এটা কি সম্ভব? এ কাজের ৪৫ লাখ টাকার বিল উত্তোলন করেছি, আরও বিল পাওনা আছে।’
জয়পুরহাট বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫২ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট বিল দেওয়ার আগে নির্মাণে ক্রটির অভিযোগ আসে। এজন্য অবশিষ্ট বিল স্থগিত করে রাখা হয়েছে। যত দিন পর্যন্ত তিনি কাজের ক্রটি সমাধান করবেন না, তত দিন পর্যন্ত বিল পাবেন না ঠিকাদার।
জয়পুরহাট বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আশেকুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণকাজে ঠিকাদারকে কোনো বিল দেওয়া হয়নি। সেতুটির দেবে যাওয়ার কারণে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেতু নির্মাণে কারও বিরুদ্ধে যদি গাফিলতি প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।