ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জলঢাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গাছ কর্তন ব্যবস্থা নেননি শিক্ষা অফিসার

নীলফামারী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের খবর জেনেও ব্যবস্থা নেননি স্কুল কতৃপক্ষ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার। রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা হলে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা বলে গাছ আমরাই কেটেছি, বলে জানান। প্রধান শিক্ষক আরনিকা রানী রায় না থাকায়, সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, প্রধান শিক্ষক ট্রেনিংয়ের জন্য ছুটিতে আছেন। গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি জানান আমাদেরকে না জানিয়ে গাছ কেটেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজনের সাথে ০১৭১৩-৭৩৭২৮২ নাম্বারে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুলের গাছ নয়, মালিকানা গাছ তাই কেটেছে। কাজের ধরন ও কোন দপ্তরের জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায় কাজ চলছে কিন্তু কোন প্রকার বিলবোর্ডের চিহ্ন নেই। পরে উপজেলায় এসে জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ২৯ লক্ষ ৪১ হাজার ২৯৩ টাকা মূল্যে নির্মাণ করা হচ্ছে এই প্রাচীর।

রোববার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফা আকতার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি জানালেন আমি প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ২৪ ঘন্টায়ও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সোমবার দুপুরে আবারো উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা হবে বলেই ফোন কেটে দেয়। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তারিকুজ্জামান, মুঠোফোনে বলেন বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জলঢাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গাছ কর্তন ব্যবস্থা নেননি শিক্ষা অফিসার

আপডেট সময় : ০৪:২০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ কর্তনের খবর জেনেও ব্যবস্থা নেননি স্কুল কতৃপক্ষ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার। রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারী সকালে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির প্রাচীর নির্মাণ কাজ চলছে। কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা হলে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ঠিকাদারের সাথে কথা বলে গাছ আমরাই কেটেছি, বলে জানান। প্রধান শিক্ষক আরনিকা রানী রায় না থাকায়, সহকারী শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, প্রধান শিক্ষক ট্রেনিংয়ের জন্য ছুটিতে আছেন। গাছ কর্তনের বিষয়ে তিনি জানান আমাদেরকে না জানিয়ে গাছ কেটেছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একজনের সাথে ০১৭১৩-৭৩৭২৮২ নাম্বারে কথা হলে তিনি বলেন, স্কুলের গাছ নয়, মালিকানা গাছ তাই কেটেছে। কাজের ধরন ও কোন দপ্তরের জানতে চাইলে তিনি এরিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায় কাজ চলছে কিন্তু কোন প্রকার বিলবোর্ডের চিহ্ন নেই। পরে উপজেলায় এসে জানা যায়, এলজিইডির বাস্তবায়নে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ২৯ লক্ষ ৪১ হাজার ২৯৩ টাকা মূল্যে নির্মাণ করা হচ্ছে এই প্রাচীর।

রোববার দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফা আকতার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি জানালেন আমি প্রধান শিক্ষিকার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু ২৪ ঘন্টায়ও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সোমবার দুপুরে আবারো উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন, পরে কথা হবে বলেই ফোন কেটে দেয়। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ তারিকুজ্জামান, মুঠোফোনে বলেন বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবো।