ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন Logo সিংড়ায় মসজিদের নামে জোড়পূর্বক একটি পৈতৃক জমি দখলের অভিযোগ Logo ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ Logo প্রতাপপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার উদ্যোগে বাৎসরিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মালচিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষের উপর মাঠ দিবস উদযাপন  Logo মোংলায় ২০০ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা দিলো কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন  Logo ক্লু লেস মামলায় দশ দিনে আসামি সনাক্ত করে আটক করলেন ওসি  Logo ছয় দফা দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

জাটকা সংরক্ষণ সম্ভব হলেই বাড়বে ইলিশ রপ্তানি

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালুর চেষ্টা চলছে, মৎস্যজীবীরা এখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবে। জাটকা সংরক্ষণ সম্ভব হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব : ফরিদা আখতার

জাটকা সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে এবং স্থানীয় ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। দেশের মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে। জাটকার জন্য ক্ষতিকর জাল তৈরির কারখানা বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে এই প্রতিপাদ্যে বরিশাল বেলস্ পার্কে গতকাল মঙ্গলবার জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহর উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের বাড়ি ভোলা আর বিভাগ বরিশাল। কেননা দেশে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৬৫.৮৮ শতাংশ বরিশাল বিভাগে উৎপাদিত হয়। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয় ভোলা জেলায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালু করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন জেলেদের এমন সুখবর জানিয়ে বলেন, মৎস্যজীবীরা এখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। জাটকা সংরক্ষণকালীন জেলেদের যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়, তা পূর্বের চেয়ে বাড়ানোর জন্যও সরকারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে জাটকা নিধন বন্ধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। এদিন থেকে দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০টি জেলায় (ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জ) জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড (ভোলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, খুলনা অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন আজাদ ও নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বরিশাল ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণির মৎসজীবী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য নৌ- র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট হতে শুরু হয়ে চরমোনাইতে গিয়ে শেষ হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাটকা সংরক্ষণ সম্ভব হলেই বাড়বে ইলিশ রপ্তানি

আপডেট সময় : ১২:০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালুর চেষ্টা চলছে, মৎস্যজীবীরা এখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবে। জাটকা সংরক্ষণ সম্ভব হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব : ফরিদা আখতার

জাটকা সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে এবং স্থানীয় ইলিশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব। দেশের মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারবে। জাটকার জন্য ক্ষতিকর জাল তৈরির কারখানা বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে একথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। জাটকা ধরা বন্ধ হলে, ইলিশ উঠবে জাল ভরে এই প্রতিপাদ্যে বরিশাল বেলস্ পার্কে গতকাল মঙ্গলবার জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহর উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশের বাড়ি ভোলা আর বিভাগ বরিশাল। কেননা দেশে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৬৫.৮৮ শতাংশ বরিশাল বিভাগে উৎপাদিত হয়। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলিশ উৎপাদিত হয় ভোলা জেলায়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক চালু করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন জেলেদের এমন সুখবর জানিয়ে বলেন, মৎস্যজীবীরা এখান থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। জাটকা সংরক্ষণকালীন জেলেদের যে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়, তা পূর্বের চেয়ে বাড়ানোর জন্যও সরকারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে জাটকা নিধন বন্ধে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান উপদেষ্টা। এদিন থেকে দেশের ইলিশ সমৃদ্ধ ২০টি জেলায় (ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জ) জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপিত হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন। বিভাগীয় কমিশনার মো. রায়হান কাওছার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড (ভোলা) জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ইমাম হাসান, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, খুলনা অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দিন আজাদ ও নৌ-পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। এসময় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, বরিশাল ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রেণির মৎসজীবী উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে একটি বর্ণাঢ্য নৌ- র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালিটি কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট হতে শুরু হয়ে চরমোনাইতে গিয়ে শেষ হয়।