ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ১৫ বছরে অন্যায় কাজের জন্য পুলিশ দুঃখিত ও লজ্জিত: আইজিপি Logo রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনের Logo সমমনা দলের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক Logo জাতীয় ইমাম পরিষদের পৌর শাখার সভাপতি আশরাফুল-সেক্রেটারি কাদির Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ গ্রেফতার-১ Logo আওয়ামী স্বৈরশাসনের সময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে :  ড্যাব মহাসচিব Logo বিনিয়োগকারী নয়, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে প্লেয়ার ও রেগুলেটররা : অর্থ উপদেষ্টা Logo ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না: ফাওজুল কবির Logo মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্কহেডসহ আটক ৯ Logo বান্দরবানে মাশরুম চাষ সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কর্মশালা

জাতিসংঘের প্রতিবেদন : রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় জান্তা বাহিনী

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ২৩৮ বার পড়া হয়েছে

ফাইল ছবি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সম্প্রতি জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায় মিয়ানমার জান্তা বাহিনী।

জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থা মিয়ানমারের জন্য নিবেদিত স্বাধীন তদন্ত সংস্থা (আইএমএম) বলেছে, তাদের হাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দায়ী।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী পরিকল্পিত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদেরকে নিয়ে ভয় ও ঘৃণা ছড়িয়েছে। সামরিক বাহিনী লক্ষ্য অর্জনে একটি গোপন নেটওয়ার্ক তৈরি করে যার মাধ্যমে লাখো মানুষের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে যায়।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর আগে ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিলো মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী।

জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানের আগে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ খুলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উসকানিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করা হয়।

এএফপির বরাতে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের তদন্তে জানা গেছে, হাজারো রোহিঙ্গাকে নির্যাতন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার আগে বড় আকারে ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়।

২০২১ সালের শেষের দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলারের মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ঘৃণা ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জাতিসংঘের প্রতিবেদন : রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় জান্তা বাহিনী

আপডেট সময় : ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

 

সম্প্রতি জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায় মিয়ানমার জান্তা বাহিনী।

জাতিসংঘের তদন্তকারী সংস্থা মিয়ানমারের জন্য নিবেদিত স্বাধীন তদন্ত সংস্থা (আইএমএম) বলেছে, তাদের হাতে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দায়ী।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী পরিকল্পিত ও সমন্বিত পদ্ধতিতে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদেরকে নিয়ে ভয় ও ঘৃণা ছড়িয়েছে। সামরিক বাহিনী লক্ষ্য অর্জনে একটি গোপন নেটওয়ার্ক তৈরি করে যার মাধ্যমে লাখো মানুষের কাছে তাদের বার্তা পৌঁছে যায়।

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযান শুরুর আগে ফেসবুকে রোহিঙ্গাবিদ্বেষ ছড়ানোর নেপথ্যে ছিলো মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী।

জাতিসংঘের এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানের আগে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ খুলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উসকানিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করা হয়।

এএফপির বরাতে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর কাজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।

জাতিসংঘের তদন্তে জানা গেছে, হাজারো রোহিঙ্গাকে নির্যাতন করে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার আগে বড় আকারে ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হয়।

২০২১ সালের শেষের দিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার কোটি ডলারের মামলা করে। তাদের অভিযোগ ছিল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত ঘৃণা ছড়ানো ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।