ঢাকা ০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী Logo মনোহরগঞ্জে পরিবেশ দূষণে প্রস্তুত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা Logo বেনাপোলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের মরদেহ Logo রামুতে ৯২০০ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ একজন আটক Logo জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক Logo বগুড়ায় বাপা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক Logo এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: সারজিস Logo কুড়িগ্রামে চোরাকারবারিদের হামলায় চার বিজিবি সদস্য আহত

জুড়ীতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু : দীর্ঘ ৬বছর পর তদন্তে সিআইডি

চিনু রঞ্জন তালুকদার, মৌলভীবাজার
  • আপডেট সময় : ২৯৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২য় স্ত্রী মল্লিকা, পরিবারের লোকজন ও জুড়ী থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিশ হেফাজতে জাহিদ মিয়া মৃত্যুর ঘটনায় দীর্ঘ ৬বছর পর আদালতের নির্দেশে (সিআর মামলা নং-১৪১/২০২৪ইং, (জুড়ী) তদন্তে নেমেছে মৌলভীবাজার সিআইডি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি মৌলভীবাজার এর তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদ নুনু মিয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন- উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী গ্রহন করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- গত ০৫/০১/২০১৯ইং, সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার দিকে জুড়ী থানাধীন ফুলতলা বাজারস্থ মটরস্ট্যান্ড থেকে জাহিদ মিয়াকে একদল সাদা পুশাকধারী পুলিশ আটক করে (ফুলতলা ইউনিয়ন অফিসের সামনে) নিয়ে যায়।

পরিকল্পিত ভাবে সেখান থেকে মাছহাটিতে তার ২য় স্ত্রী মল্লিকার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে পুলিশ ও তার শশুর বাড়ীর লোকজন মিলে তাকে নির্মমভাবে প্রহার করে। আধাঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় অটোরিকসায় তুলে হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় জাহিদ মিয়া‘র ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তার ২য় স্ত্রী মল্লিকা বেগম (২৫), হাছিব আলী (৪০),হাসমত আলী (২৭), মনা মিয়া (২০), সিতারা বেগম সিতারুন (৪৮), আলেক বেগম (৫০),রুবি বেগম (৩০), কামরান মিয়া (২২), এমরান মিয়া (৩০),সাইফুল মিয়া (১৯), মছব্বির আলী (৪০), বাদুর মিয়া (৫৫),সৌরভ চন্দ্র শ্রীল (৩০), আজমল আলী (৫২), হাফিজ আলী (৬০), লিলু মিয়া (৫৫), দুলাল মিয়া (৪৮), হোসেন মিয়া (৫৫), তৎকালীন জুড়ী থানার এএসআই (নি:) মো: ফরহাদ মিয়া ও অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার-কে আসামী করে মামলা (পিটিশন মামলা নং- ২৮/১৯ইং, (জুড়ী), দায়ের করেন। মামলাটি মৌলভীবাজার পিবিআই দীর্ঘতদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

মামলার বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজী আবেদন করেন। মৌলভীবাজার ৫নং আমল গ্রহনকারী বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় উক্ত নালিশটি খারিজ করে দেন। মামলার বাদী ন্যায় বিচার কামনা করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। মামলার বাদী আরো জানান- জাহিদ মধ্যপ্রাচ্য দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার পর ২য় স্ত্রী মল্লিকা তার নগদ ৪ রাখ টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে চলে যায়। ২য় স্ত্রীর মামলায় জাহিদ এর আগেও কারাগারে ছিলেন। ঘটনাকালীন সময় পর্যন্ত দীর্ঘদিন ২য় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ ছিলো না। অথচ, পুলিশ তাকে তার ২য় স্ত্রীর বাসায় মাদকসহ আটক করেছে বলে নাটক সাজায়। ২য় স্ত্রী মল্লিকা, তার পরিবার ও জুড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, এএসআই (নি:) মো: ফরহাদ মিয়াসহ পুলিশের সহায়তায় জাহিদ-কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জুড়ীতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু : দীর্ঘ ৬বছর পর তদন্তে সিআইডি

আপডেট সময় :

২য় স্ত্রী মল্লিকা, পরিবারের লোকজন ও জুড়ী থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিশ হেফাজতে জাহিদ মিয়া মৃত্যুর ঘটনায় দীর্ঘ ৬বছর পর আদালতের নির্দেশে (সিআর মামলা নং-১৪১/২০২৪ইং, (জুড়ী) তদন্তে নেমেছে মৌলভীবাজার সিআইডি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি মৌলভীবাজার এর তদন্তকারী অফিসার মোহাম্মদ নুনু মিয়া সত্যতা স্বীকার করে বলেন- উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী গ্রহন করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- গত ০৫/০১/২০১৯ইং, সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার দিকে জুড়ী থানাধীন ফুলতলা বাজারস্থ মটরস্ট্যান্ড থেকে জাহিদ মিয়াকে একদল সাদা পুশাকধারী পুলিশ আটক করে (ফুলতলা ইউনিয়ন অফিসের সামনে) নিয়ে যায়।

পরিকল্পিত ভাবে সেখান থেকে মাছহাটিতে তার ২য় স্ত্রী মল্লিকার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে পুলিশ ও তার শশুর বাড়ীর লোকজন মিলে তাকে নির্মমভাবে প্রহার করে। আধাঘন্টা পর অচেতন অবস্থায় অটোরিকসায় তুলে হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত: ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় জাহিদ মিয়া‘র ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে তার ২য় স্ত্রী মল্লিকা বেগম (২৫), হাছিব আলী (৪০),হাসমত আলী (২৭), মনা মিয়া (২০), সিতারা বেগম সিতারুন (৪৮), আলেক বেগম (৫০),রুবি বেগম (৩০), কামরান মিয়া (২২), এমরান মিয়া (৩০),সাইফুল মিয়া (১৯), মছব্বির আলী (৪০), বাদুর মিয়া (৫৫),সৌরভ চন্দ্র শ্রীল (৩০), আজমল আলী (৫২), হাফিজ আলী (৬০), লিলু মিয়া (৫৫), দুলাল মিয়া (৪৮), হোসেন মিয়া (৫৫), তৎকালীন জুড়ী থানার এএসআই (নি:) মো: ফরহাদ মিয়া ও অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার-কে আসামী করে মামলা (পিটিশন মামলা নং- ২৮/১৯ইং, (জুড়ী), দায়ের করেন। মামলাটি মৌলভীবাজার পিবিআই দীর্ঘতদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।

মামলার বাদী বিজ্ঞ আদালতে নারাজী আবেদন করেন। মৌলভীবাজার ৫নং আমল গ্রহনকারী বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারায় উক্ত নালিশটি খারিজ করে দেন। মামলার বাদী ন্যায় বিচার কামনা করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। মামলার বাদী আরো জানান- জাহিদ মধ্যপ্রাচ্য দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার পর ২য় স্ত্রী মল্লিকা তার নগদ ৪ রাখ টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে চলে যায়। ২য় স্ত্রীর মামলায় জাহিদ এর আগেও কারাগারে ছিলেন। ঘটনাকালীন সময় পর্যন্ত দীর্ঘদিন ২য় স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ ছিলো না। অথচ, পুলিশ তাকে তার ২য় স্ত্রীর বাসায় মাদকসহ আটক করেছে বলে নাটক সাজায়। ২য় স্ত্রী মল্লিকা, তার পরিবার ও জুড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, এএসআই (নি:) মো: ফরহাদ মিয়াসহ পুলিশের সহায়তায় জাহিদ-কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।