ঢাকা ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

জুলাইর শেষে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বাধ সেধেছে তারেক রহমানের নিরাপত্তাহীনতা, জটিলতা এবং নির্বাচনী কৌশল। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রবীন রাজনীতিবিদগন

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে তার ফেরা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা পরিকল্পনা এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে সম্ভাব্য ধারনা করা হচ্ছে, আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বাধ সেধেছে তারেক রহমানের নিরাপত্তাহীনতা, জটিলতা এবং নির্বাচনী কৌশল। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রবীন রাজনীতিবিদগন।
এবিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর প্রায় সকল মামলা থেকে তারেক রহমান অব্যাহতি পেয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার মতো দুষ্কর সব মামলাও থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ফেরার পথে আইনি বাধা নেই। তবুও সতের বছর দেশের বাইরে থাকা তারেক রহমান কবে ফিরবেন তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। দলীয় সূত্র এবং ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তিনি দেশে ফিরে দলের নেতৃত্ব দেবেন। তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন জানান, নির্বাচন পূর্বে তিনি দেশে ফিরবেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করবেন।
এদিকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছে। দেশে না ফেরার প্রধান কারণ হিসেবে নিরাপত্তা উদ্বেগকে সামনে আনা হচ্ছে। তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, আইনি বাধা উঠে গেলেও একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা সমস্যা আলাদা বিষয়। তিনি যোগ করেন, সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপদ পরিবেশ ও উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।
প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিবেশ থাকায় এবং পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে তারেক রহমান দেশে ফেরা আরও স্পষ্ট হবে।
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তারেক রহমান নিজেই দেশে ফেরার সময় ও জায়গা ঠিক করবেন। ইতিমধ্যে তার জন্য ঢাকায় কুটনৈতিক এলাকা গুলশানে একটি বাসার প্রস্তুতি চলছে এবং সেখানে পুলিশ প্রহরাও দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা, দেশের নির্বাচন ও নিরাপত্তার পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে ২০২৫ সালের মধ্যে তারেক রহমান দেশে এসে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন এবং সম্ভবত দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জুলাইর শেষে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান

আপডেট সময় :

আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বাধ সেধেছে তারেক রহমানের নিরাপত্তাহীনতা, জটিলতা এবং নির্বাচনী কৌশল। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রবীন রাজনীতিবিদগন

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে তার ফেরা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা পরিকল্পনা এখনো ঘোষণা হয়নি। তবে সম্ভাব্য ধারনা করা হচ্ছে, আগামী জুলাইয়ের শেষের দিকে তিনি বাংলাদেশের মাটিতে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বাধ সেধেছে তারেক রহমানের নিরাপত্তাহীনতা, জটিলতা এবং নির্বাচনী কৌশল। এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রবীন রাজনীতিবিদগন।
এবিষয়ে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর প্রায় সকল মামলা থেকে তারেক রহমান অব্যাহতি পেয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার মতো দুষ্কর সব মামলাও থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে ফেরার পথে আইনি বাধা নেই। তবুও সতের বছর দেশের বাইরে থাকা তারেক রহমান কবে ফিরবেন তা নিয়ে চলছে জোর গুঞ্জন। দলীয় সূত্র এবং ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে তিনি দেশে ফিরে দলের নেতৃত্ব দেবেন। তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন জানান, নির্বাচন পূর্বে তিনি দেশে ফিরবেন এবং নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করবেন।
এদিকে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখ করা হয়েছে। দেশে না ফেরার প্রধান কারণ হিসেবে নিরাপত্তা উদ্বেগকে সামনে আনা হচ্ছে। তারেক রহমানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, আইনি বাধা উঠে গেলেও একজন সিনিয়র রাজনৈতিক নেতার নিরাপত্তা সমস্যা আলাদা বিষয়। তিনি যোগ করেন, সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপদ পরিবেশ ও উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরির প্রয়োজন রয়েছে।
প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিবেশ থাকায় এবং পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার কারণে নিরাপত্তার বিষয়টি সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মনে করেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে তারেক রহমান দেশে ফেরা আরও স্পষ্ট হবে।
অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তারেক রহমান নিজেই দেশে ফেরার সময় ও জায়গা ঠিক করবেন। ইতিমধ্যে তার জন্য ঢাকায় কুটনৈতিক এলাকা গুলশানে একটি বাসার প্রস্তুতি চলছে এবং সেখানে পুলিশ প্রহরাও দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে ধারণা, দেশের নির্বাচন ও নিরাপত্তার পরিস্থিতি উপযুক্ত হলে ২০২৫ সালের মধ্যে তারেক রহমান দেশে এসে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন এবং সম্ভবত দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন।