জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হচ্ছে শাহবাগে

- আপডেট সময় : ১৪১ বার পড়া হয়েছে
স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হচ্ছে এবং আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে সব জেলায় এটি সম্পন্ন হবে : ফারুকী
আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভের’ কাজ এননটাই বলেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে দেশের ৬৪ জেলায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। গতকাল সোমবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অন্তর্বর্তী সরকারে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তবে নীতি নির্ধারকরা বলছেন, রাজধানীর ব্যস্ততম প্রানকেন্দ্র এবং যৌক্তিক আন্দোলনের দীর্থস্থান শাহবাগ মোড়েই প্রথম নির্মিত হচ্ছে শহীদ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। সেটি শাহবাগের দৃষ্টিনন্দন এবং দর্শনীয় স্থানে নির্মিত হতে যাচ্ছে। সম্ভাব্য ধারনা থেকে নীতি নির্ধারকরা বলেছেন, সম্প্রতি শাহবাগের মোড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে প্রজন্ম চত্বর’ নামে পরিচিত স্থাপনা। সেখানেই নির্মিত হবে শহীদ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। শুধু তাই নয়, রাজধনিীসহ দেশের বিভাগীয় এবং জেলা উপজেলা শহরতলীতে নির্মিত হবে শহীদ জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ।
এবিষয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, জুলাই শহিদদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হচ্ছে এবং আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে সব জেলায় এটি সম্পন্ন হবে। এ সময় সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে গত দুদিনে প্রজন্ম চত্বরের স্থাপনাটি এস্কেভেটর দিয়ে স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কারা এটি ভাঙছে প্রথমে জানা না গেলেও পরে জানা যায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই স্থাপনাটি ভেঙে দিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে শাহবাগ মোড়ে নির্মিত স্থাপনাটি ভেঙে দিচ্ছেন তারা। সেখানে নতুন করে জুলাই শহীদের স্মৃতির আদলে আন্দোলনের থন্ডচিত্র মিলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্দশন স্থাপনা তৈরি হবে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নিয়ে এখানে এই স্থাপনা নির্মাণ করেছিলেন। বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রথমে ওই জায়গা বরাদ্দ নিয়ে নিজ খরচে সেখানে এই স্থাপনা তৈরি করেন।
এটি তৈরির পর সেখানে বসানো ডিজিটাল স্ক্রিন থেকে বিকট শব্দ আসার কারণে এবং অতিরিক্ত আলোতে মানুষের সমস্যা হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শাহবাগ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ স্ক্রিনটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানায়। কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে তিনি এটি সরাননি।
পরে সিটি কর্পোরেশন সেখান থেকে ডিজিটাল স্ক্রিনটি খুলে ফেলে। এরপর ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে মামলা করেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এটি ভেঙে ফেলার আগে কয়েক বছর ধরে এই স্থাপনা অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এখন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এটি ভেঙে সেখানে জুলাই মনুমেন্ট স্থাপনা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।