ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ঝিনাইদহের জাকির হোসেনের ম্যাজিক তেল! পোড়া ক্ষতে কাজ করে জাদুর মতো

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘাঘা গ্রামের জাকির হোসেনের তৈরি এক বিশেষ ভেষজ তেল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয়দের ভাষায় এটি যেন এক “ম্যাজিক তেল”! আগুনে পোড়া কিংবা কেটে যাওয়া ক্ষতে এই তেল ব্যবহার করলে দ্রুত ব্যথা কমে যায় এবং ক্ষতও দ্রুত সেরে ওঠে—এমনই দাবি ব্যবহারকারীদের। দেড় বছর বয়সী শিশু জিহাদ সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনায় শরীরে গরম তেল পড়ে মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। ছেলেটির মা রোকসানা জানান, “জাকির হোসেনের তেল লাগানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই জিহাদের জ্বালা-যন্ত্রণা অনেকটা কমে আসে। এখন তার ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে আসছে। আমরা নিজেরাও অবাক হয়েছি।”
শুধু জিহাদই নয়, পাশের গ্রামের আরও একটি শিশু জান্নাতুল কয়েক মাস আগে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তাকেও ওই তেল ব্যবহার করানো হয়। শিশুটির মা ফাতেমা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের শরীরে অনেক স্থানে পুড়ে যায়। খুবকান্নাকাটি করছিলো। ওই সময় পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশীর কাছে জাকির হোসেনের তেল ছিলো। সকলের পরামর্শে আমি সেই তেল ব্যবহার করি। তেল দেওয়ার ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে মেয়ের কান্না থেমে যায়। পরে জাকির হোসেনের কাছে গিয়ে তেল নেওয়ার পর ১ মাসের মধ্যে আমার মেয়ে পোড়া ক্ষত সেড়ে যায়।
এই তেল সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ভাবক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “আমি কয়েক বছর ধরে ভেষজ উপাদান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এই তেলটি তৈরি করতে বিশেষ কিছু গাছের রস, তেল ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেছি। আল্লাহর রহমতে এটি এখন অনেকের উপকারে আসছে।” গ্রামের মানুষ এখন এই তেলকে ‘ম্যাজিক তেল’ বলেই ডাকছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি যেন এক ধরনের অসাধারণ চিকিৎসা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, যতই কার্যকর হোক না কেন এটা ব্যবহারের কোন নিয়ম নেই। এটা অবৈধ বলে বিবেচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইদহের জাকির হোসেনের ম্যাজিক তেল! পোড়া ক্ষতে কাজ করে জাদুর মতো

আপডেট সময় :

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘাঘা গ্রামের জাকির হোসেনের তৈরি এক বিশেষ ভেষজ তেল এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্থানীয়দের ভাষায় এটি যেন এক “ম্যাজিক তেল”! আগুনে পোড়া কিংবা কেটে যাওয়া ক্ষতে এই তেল ব্যবহার করলে দ্রুত ব্যথা কমে যায় এবং ক্ষতও দ্রুত সেরে ওঠে—এমনই দাবি ব্যবহারকারীদের। দেড় বছর বয়সী শিশু জিহাদ সম্প্রতি একটি দুর্ঘটনায় শরীরে গরম তেল পড়ে মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। ছেলেটির মা রোকসানা জানান, “জাকির হোসেনের তেল লাগানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই জিহাদের জ্বালা-যন্ত্রণা অনেকটা কমে আসে। এখন তার ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে আসছে। আমরা নিজেরাও অবাক হয়েছি।”
শুধু জিহাদই নয়, পাশের গ্রামের আরও একটি শিশু জান্নাতুল কয়েক মাস আগে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। তাকেও ওই তেল ব্যবহার করানো হয়। শিশুটির মা ফাতেমা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের শরীরে অনেক স্থানে পুড়ে যায়। খুবকান্নাকাটি করছিলো। ওই সময় পাশের বাড়ির এক প্রতিবেশীর কাছে জাকির হোসেনের তেল ছিলো। সকলের পরামর্শে আমি সেই তেল ব্যবহার করি। তেল দেওয়ার ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে মেয়ের কান্না থেমে যায়। পরে জাকির হোসেনের কাছে গিয়ে তেল নেওয়ার পর ১ মাসের মধ্যে আমার মেয়ে পোড়া ক্ষত সেড়ে যায়।
এই তেল সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ভাবক জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “আমি কয়েক বছর ধরে ভেষজ উপাদান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এই তেলটি তৈরি করতে বিশেষ কিছু গাছের রস, তেল ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করেছি। আল্লাহর রহমতে এটি এখন অনেকের উপকারে আসছে।” গ্রামের মানুষ এখন এই তেলকে ‘ম্যাজিক তেল’ বলেই ডাকছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি যেন এক ধরনের অসাধারণ চিকিৎসা।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, যতই কার্যকর হোক না কেন এটা ব্যবহারের কোন নিয়ম নেই। এটা অবৈধ বলে বিবেচিত।