টানা বৃষ্টিতে বেড়েছে সবজির দাম মরিচের কেজি ৩০০ পার
- আপডেট সময় : ১০২ বার পড়া হয়েছে
টানা বৃষ্টির অজুহাতে যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাঁচাবাজার গুলোতে শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম । প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ( লম্বা মরিচ)২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়, তবে গোল কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়। যা আগের ছিল ৮০ থেকে ১০০। এছাড়া বেগুনসহ একাধিক সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। কেশবপুরের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ কমে যাওয় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। গতকাল কেশবপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বৃষ্টির অজুহাতে সব ধরনের সবজির সাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। ১১ নম্বর হাসানপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, যে কাঁচামরিচ আগের দিন ভিবেছিলাম ১০০ টাকা কেজি, সেটা এখন কেনা বাগছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। বাইরে থেকে কাঁচামাল আসছে না। আবার পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুর করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, এ জন্য দাম একটু চড়া। তবে বৃষ্টি শেষ হলে দাম আবার আগের হতো হয়ে যাবে। আবুল হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বাসন, পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ খুব কম। পাইকারি বাজার থেকে ২৫০ টাকায় পাইকারি কিনতে হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দামে দিয়েই কিনতে হচ্ছে। এদিকে প্রতিকেজি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা, একইভাবে বেগুন ৯০-১০০ টাকা। করলা ৮০ টাকা, পটোল ৬০-৬৫ টাকা, শসা ৬০-৬০ টাকা, কচুরমুখি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা,ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকা হালি, বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা সোবহান আহমেদ বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। তাই সবজি আর আগের মতো পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে। তবে বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে আলু, মসলা,মাছ ও মাংসের দাম। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ১০০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটাদানা) ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম ১২৮–১৩০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেশবপুর বাজারে সোনালি মুরগির দরদাম করাতে দেখা যায় ২৯০ টাকা কেজি । একজন ক্রেতা রফিক বলেন ২৮০ টাকা দিয়ে গত সপ্তাহে কিনেছি। সোনালি মুরগির নাম কিছুটা বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি আগের মতো ১৩০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৪০০ টাকায়। আকারভেদে রুই ও কাতানের কেজি ৩০০-৪৫০ টানা, পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাংগাস ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কেশবপুর উপজেলার মুল কাঁচাবাজারে পানি উঠায় ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই দূর্ভোগের শিকার। বর্তমান কাঁচাবাজার টি মাইকেল সড়কের উপর বসার ব্যবস্থা করে দেন পৌর প্রশাসক।



















