ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ
- আপডেট সময় : ১১:২৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ৪ বার পড়া হয়েছে
নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে ২২ অঙ্গরাজ্য, ২ শহর ও নাগরিক অধিকার সংগঠনের মামলা
যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ বাতিল করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ডেমোক্র্যাট অধ্যুষিত ২২টি অঙ্গরাজ্য ও ২টি শহর। এছাড়া আইনি লড়াইয়ে শরিক হয়েছে বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংগঠন। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আইনি উপায়ে মোকাবিলা করতে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, অভিবাসনের ওপর ট্রাম্পের কঠোরতা হ্রাস করতে এসব মামলা করা হয়েছে। তার আদেশ বাস্তবায়িত হলে আধুনিক মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবার বছরে দেড় লাখ শিশু নাগরিকত্ব বঞ্চিত হবে। ক্যাম্পবেল বলেন, কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার অধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই। যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেনযুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গত সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে বসেই একে একে নির্বাহী আদেশে সই করতে থাকেন।
নাগরিকত্ব সংক্রান্ত ওই আদেশে বলা হয়েছে, কোনো শিশুর বাবা বা মা কেউই যদি মার্কিন নাগরিক না হন বা বসবাসের বৈধ অনুমতি না থাকে, ওই শিশুকে নাগরিকত্ব প্রদানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করা হচ্ছে। তার এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের লঙ্ঘন বলে বোস্টন ও সিয়াটলের ফেডারেল আদালতে দুটি মামলা দায়ের করেছে ওয়াশিংটন ডিসি, সিটি অব স্যান ফ্র্যানসিসকো এবং ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন ২২টি অঙ্গরাজ্য।
এছাড়া, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন, অভিবাসী সংগঠন এবং একজন প্রসূতি মায়ের পক্ষ থেকেও পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অঙ্গরাজ্যগুলোর দাবি, নাগরিকত্ব হারালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বীমার মতো ফেডারেল সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। পরবর্তীতে দেশটিতে বৈধভাবে কাজ করা বা ভোটাধিকার প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না। নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যাথিউ প্ল্যাটকিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের দেশের বসবাসকারীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে আমরা সবসময় আছি। এই মামলাগুলোর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আমরা সুস্পষ্টভাবে তা জানিয়ে দিতে চাই।
এদিকে, মামলার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল রয়টার্স। তবে তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব সুবিধা নিয়ে নতুন নিয়ম ট্রাম্প কীভাবে কার্যকর করতে চান, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের এ সুবিধা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সংরক্ষিত একটি বিষয়। ট্রাম্প যদি জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের এ সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে চান, তবে তাকে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন পেতে হবে।