ডলার সংকটের মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি
- আপডেট সময় : ০২:১২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
ডলার সংকটের মধ্যেও দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ৫ দশমিক ৩৬ ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস। আগের অর্থবছরে ছিল ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭২৪ মেট্রিক টন। আগের অর্থবছরে ছিল ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ টন। এবার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও বন্দরে জাহাজ আসার পরিমাণ ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১টি, এর আগের অর্থবছরে ছিল ৪ হাজার ২৫৩টি।
সার্বিক বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক সংবাদমাধ্যমকে জানান, বন্দরের আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।
জাহাজ কম আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা জানেন চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে আগের চেয়ে বড় জাহাজ ভিড়তে পারছে। বড় জাহাজে একসঙ্গে বেশি পণ্য ও কনটেইনার পরিবহন সম্ভব হচ্ছে। এতে জাহাজের সংখ্যা কিছুটা কমতে পারে। আমরা চাই বড় জাহাজে বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করতে। এতে জাহাজ ভাড়া কম পড়বে, আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। জাতীয় বাজেট বাড়ছে। বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি।