ডিপ্লোমা পাশ ছাড়া অটো ১০ নম্বর বাতিল দাবি ব্যাংক কর্মকর্তাদের

- আপডেট সময় : ১৪২ বার পড়া হয়েছে
অটো নম্বর বাতিল বা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শাপলা চত্ত্বর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। তাদের সম্মিলিত দাবি, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি তারিখে জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলার নং-০২ এ বর্ণিত ২(খ) অনুচ্ছেদে বলা হয় যে ২০২৩ সালের বিআরপিডি -০৩ জারির অব্যবহিত পূর্বে নিয়োগ প্রাপ্ত/ পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তারা পরবর্তী এক ধাপ পদোন্নতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদোন্নতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ১০% নম্বর প্রাপ্ত হবেন। অথচ ২০২৩ সালের জারিকৃত সার্কুলারে ব্যাংকিং প্রফেশনাল এক্সাম উত্তীর্ণদের জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর বরাদ্দ রাখা বাধ্যতামূলক করেছিলো।
আর এতেই বাধে বিপত্তি। স্বয়ংক্রিয় নম্বরের কারণে রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকের হাজার হাজার কর্মকর্তারা পদোন্নতি বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন। কারণ হিসেবে তারা দাবি করেছেন যে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোতে একই বছরে সমমান পদে অধিক সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগ হয় বলে এখানে ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়না। সেক্ষেত্রে একই ব্যাচের মধ্যে কিংবা প্যারালালি অন্য ব্যাচের মধ্যে সীমিত সংখ্যক পদের জন্য পদোন্নতিতে তুমুল প্রতিযোগিতা করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংকিং প্রফেশনাল ডিগ্রির প্রাপ্ত ১০ নম্বর কেউ পাস না করেও অটো নম্বরে পদোন্নতিতে এগিয়ে যাবে, আবার দীর্ঘ সময়, শ্রম, অর্থ ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি কঠিন প্রফেশনাল ডিগ্রী অর্জন করেও পদোন্নতিতে পিছিয়ে যাবে এটা কর্মকর্তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেনা।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন- ৪০০+ কর্মকর্তার একটি ব্যাচে জয়েন করেছি, যেহেতু রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোতে চাকরির মেধাক্রম অনুযায়ী জয়নিং না হয়ে ডেট অব জয়নিং অনুযায়ী মেধাক্রম হয় বিধায় পরীক্ষার মেধাক্রম ১৪৫ হওয়া স্বত্বেও আমার জয়নিং মেধাক্রম ২২০ হয়। এ বছর পদোন্নতির জন্য বরাদ্দকৃত পদ রয়েছে ১৮০ টি। আমার দুই পার্ট প্রফেশনাল ডিপ্লোমা আছে কিন্তু স্বয়ংক্রিয় নম্বরের কারণে প্রথম ১৮০ জন বিনা সার্টিফিকেটে পদোন্নতি পাবে আর আর আমি কষ্ট, শ্রম ও মেধার বিনিময়ে সার্টিফিকেট অর্জন করেও পদোন্নতি বঞ্চিত হবো। এট চরম বৈষম্য মূলক একটি সিদ্ধান্ত এবং এভাবে বিনা ডিপ্লোমায় পদোন্নতিতে কেউ একবার এগিয়ে গেলে সে সারাজীবনই পদোন্নতিতে এগিয়ে থাকবে। এ বিষয়ে আইনজ্ঞ বলেন- পদোন্নতিতে প্রকৃত মেধা ও যোগ্যতার মূল্যায়নস্বরুপ আইবিবি কর্তৃক আয়োজিত পরীক্ষায় কৃতকার্য কর্মকর্তাদের উপেক্ষা করে অকৃতকার্য কর্মকর্তাদেরকে সুবিধা প্রদানের ফলে যোগ্য কর্মকর্তাগণ বঞ্চিত হবে যা সংবিধানের ধারা -২৭ ও ২৯ এর পরিপন্থী। অনতিবিলম্বে উক্ত সার্কুলারের ২(খ) বাতিল/সংশোধন না করলে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা।