ডিমলায় নাশকতায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ১৭ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারী ডিমলার ডালিয়ায় নাশকতার ঘটনায় ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও অভিযোগ আমলে না নিয়ে অভিযুক্তদের পক্ষপাত নেয়ার অভিযোগ থানার পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। বড় ধরনের কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার আগেই অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
ডিমলা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৪ ইং সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে থাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল -১ আদালতে গত ১৭ ই নভেম্বর মৃতদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন । সর্বোচ্চ সাজা ঘোষণার পরপরই দেশ ব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য যানবাহনে অগ্নি সংযোগ সহ নাশকতা ঘটনা ঘটানোর অপচেষ্টা চালায় দেশে লুকিয়ে থাকা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের উশৃংখল নেতা কর্মীরা। সেদিনের অবৈধ কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে সারা দেশের ন্যয় ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ডালিয়া ১ নং বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা আয়তালের চায়ের দোকানের সামনে তারিখ ঘোষণার দিনই সন্ধায় আনুমানিক দেড় শত জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের নেতা কর্মী জড়ো হয় । এর নেতৃত্ব দেন তারা হলেন, আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতা ও ছোট খাতা গ্রামের মৃত সামছুলের ছেলে, মো,রশিদুল ইসলাম (৪৮), নজরুলের ছেলে মো, পলাশ (৩৫), নুরহক সরকারের ছেলে মো,রাসেল সরকার (৪০),ছিদ্দিকের ছেলে মো, আবু ছাইদ (৩৪) ও মো,বাবু মিয়া (৩০),খলিলের ছেলে এরশাদ আলী (৩৫), হানিফে খানের ছেলে, সজীব খান এবং সোহরাব হোসেনের ছেলে শাহিনুর রহমান (৩৭)।
উল্লেখিত নেতা কর্মীদের নেতৃত্বে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোক জন বাধার সৃষ্টি করলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াা শুরু হয়। এসময় পার্শ্ববর্তী একটি স মিলে পেট্রোল দিয়ে অগ্নি সংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়া হলে “স “মিলটির লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয় । এতে বেশ কিছু স্থানীয় লোক জনো আহত হয়। পরবর্তীতে ডিমলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় “স” মিলের মালিক ও গয়াবাড়ি গ্রামের আকবর আলীর ছেলে, মো, রজব আলী ঘটনার পরদিন গত ১৮ নভেম্বর নামীয় ৯ জন ও অজ্ঞাত দেড় শত জনের নামে ডিমলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। অভিযোগ দাখিলের ২ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও ডিমলা থানার পুলিশ এই ঘটনার কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ঐ এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাতে এলাকার সচেতন মহল আশঙ্কা করছে যেকোনো মুহূর্তে সংঘাত সৃষ্টি হয়ে বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে। তাদের দাবি অনাকাঙ্খিতে কোন ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। নইলে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দায় নিতে হবে।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী স মিলের মালিক রজব আলী জানান, ঘটনার পরদিন গত ১৮ নভেম্বর ডিমলা থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এজাহর দাখিল করলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। ডিমলা থানার ওসি আমাকে আজকাল করে সময় অতিবাহিত করছে।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এস, আই, পরিতোষ চন্দ্র রায় জানান, অফিসার্স ইনচার্জ স্যার বদলী হয়ে রাজশাহী রেঞ্জ যোগদান করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি তিনি জানেন। বিষয়টি এস আই মোঃ আতোয়ার হোসেন তদন্ত করছেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

















