ডিমলায় পাউবোর খোয়া যাওয়া জিও ব্যাগ জনতার হাতে আটক
- আপডেট সময় : ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলায় পাউবোর খোয়া যাওয়া জিও ব্যাগ পাচার কালে জনতা আটক কে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে,নীলফামারীর ডিমলায় সাম্প্রতিক বন্যায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। তিস্তান উজান ভারত থেকে ধেয়ে আসা পানির স্রোতের কারনে পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিহেশ্বর বাঁধ সহ অনেক এলাকা ভাঙ্গনের সৃষ্টির হয়ে ঝুকিতে পড়ে। উপজেলা প্রশাসক, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ বন্যা মোকাবেলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। এ সময় ডালিয়া পাউবোর কর্মকর্তারা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের একাধিক স্থানে ভাঙ্গন রোধে তাদের সরবরাহ কৃত প্রায় দুই হাজার জিও ব্যাগ সরবরাহ করেন। জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে তা ভাঙ্গন রোধের জন্য পিচিং কাজে। ভাঙ্গল রোধে জরুরী কাজের সরবরাহকৃত জিও ব্যাগের মধ্যে প্রায় এক হাজার বস্তা খোয়া যায়। পাউবো কর্তৃপক্ষ খোয়া যাওয়া জিও ব্যাগের মধ্যে একশত দশটি জিও ব্যাগ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকী গুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পউবো কর্তৃপক্ষ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় খোয়া যাওয়া ৩১০ টি জিও ব্যাগ ডিমলা সদরর থেকে আাটক করে জনতা । জনতার অভিযোগ, আটক জিও ব্যাগগুলি ডালিয়া পাউবোর।
ভ্যান চালক জিয়া বলেন, বস্তাগুলো পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের হাসানুর রহমান এর গোডাউন থেকে নিয়ে এসেছি উনার গোডাউনে আরো অনেক বস্তা রয়েছে
গোডাউন মালিক হাসানুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই জিও ভাগ গুলি আমার না ব্যাগগুলি হচ্ছে, যুবদলের সাধারন সম্পাদক ও ঐ ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ মনির হোসেনের অবৈধভাবে জলঢাকা উপজেলায় ভ্যান গাড়ি যোগে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আটকৃত জিও ব্যাগগুলি শুক্রবার রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো,ইমরানুজ্জামানের নির্দেশে ডিমলা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো, আবু তালেবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক জিও ব্যাগ নিজ হেফাজতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তালেব।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো,সালামত ফকির জানান, পূর্ব ছাতনাইয়ের ঝাড়সিংহেশ্বরে সম্প্রতি বন্যায় ভাঙ্গন রোধের জরুরী কাজ করার সময় কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু জিও ব্যাগ খোয়া যায় সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আটক হওয়া জিও ব্যাগ সেগুলো কিনা যাচাই চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,মো, ইমরানুজ্জামান জানান,তিস্তার ভাঙ্গন রোধের কাজে ব্যবহৃত জিও ব্যাগ লোকজন কর্তৃক আটকের বিষয়টি শুনেছি। আটক জিও ব্যাগগুলি সদর ইউপি চেয়াসম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে যাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরদার, কালকিনি পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন বেপারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন চৌকিদার, উপজেলা যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা, উপজেলা যুবনেতা কাওছার হোসেন নান্না, যুবনেতা এইচ এম তুহিন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নজরুল ইসলাম হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম মুন্সী, উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সজল আহমেদ সহ কালকিনি উপজেলার দশটি ইউনিয়নের বিএনপি’র বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। সদস্য সংগ্রহের দিকনির্দেশনা মূলক আলোচনা শেষে বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের হাতে সদস্য সংগ্রহের ফরম তুলে দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন।
















