ঢাকা ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ডিমলায় রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

ডিমলা, (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের পেপার বিক্রেতা আসাদুজ্জামান সহ ৯ টি পরিবারের প্রায় ১০০ জন সদস্য বসবাস করে । ওই সকল পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের জন্য এক মাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে একই গ্রামের মৃত মাহফুজার রহমান লেবুর স্ত্রী ও ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স লতিফা ইয়াসমিন ডলি। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করায় ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । সোমবার দুপুরে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে । এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের অনেক নারী সদস্যদের আহাজারি করতে শোনা যায়।

ভুক্তভোগী মনেজা বেগম (২৮) অভিযোগ করে বলেন, আমরা সহ এখানে বসবাস কারী ৯ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্য লোকজন দীর্ঘ দিন যাবত রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরা ও যাতায়াত করে আসছি কিন্তু হঠাৎ করে গত সোমবার হাসপাতালের নার্স ও এলাকার প্রভাবশালী লতিফা ইয়াসমিন ডলি ( ৪৫) আমাদের চলাচলের রাস্তায় প্রাচীন নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মৃত অছিলত মামুদের পুত্র আসাদুজ্জামান (৪০)বলেন,আমি একজন পেপার বিক্রেতা, নিউজ পেপার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমি সহ প্রতিবেশী ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা লতিফা ইয়াসমিন ডলি প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে,রাস্তার অভাবে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমরা চলাফেরার জন্য রাস্তা চাই। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী মৃত্যু আফসার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩১)বলেন, আমি একজন ভ্যান চালক শ্রমিক , ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি । এ রাস্তা দিয়ে শৈশব কাল হতে চলাফেরা করে আসছি সেই রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছে।

আমার বসত বাড়ির ৩ দিকে প্রাচীর দিয়েছেন,লতিফা ইয়াসমিন ডলি ও একই এলাকার মৃত্যু মতিউর রহমানের ছেলে মহিম বিল্লাহ (২৭)। আমি এখন স্বপরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। এ ব্যাপারে অবরুদ্ধ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ ডিমলা থানা বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লতিফা ইয়াসমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করছি। টাকা দিয়ে জমি কিনেছি কাউরে চলাফেরার রাস্তা তৈরি করার জন্য নয়।এ ব্যাপারে ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি দেখার জন্য একজন পুলিশ অফিসার কে পাঠিয়েছি। কোন বসত বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করার এখতিয়ার কারোই নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০১:৫৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের পেপার বিক্রেতা আসাদুজ্জামান সহ ৯ টি পরিবারের প্রায় ১০০ জন সদস্য বসবাস করে । ওই সকল পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের জন্য এক মাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করে একই গ্রামের মৃত মাহফুজার রহমান লেবুর স্ত্রী ও ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের সিনিয়ার স্টাফ নার্স লতিফা ইয়াসমিন ডলি। চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করায় ওই পরিবারগুলোর সদস্যদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে । সোমবার দুপুরে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে । এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের অনেক নারী সদস্যদের আহাজারি করতে শোনা যায়।

ভুক্তভোগী মনেজা বেগম (২৮) অভিযোগ করে বলেন, আমরা সহ এখানে বসবাস কারী ৯ টি পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্য লোকজন দীর্ঘ দিন যাবত রাস্তাটি দিয়ে চলাফেরা ও যাতায়াত করে আসছি কিন্তু হঠাৎ করে গত সোমবার হাসপাতালের নার্স ও এলাকার প্রভাবশালী লতিফা ইয়াসমিন ডলি ( ৪৫) আমাদের চলাচলের রাস্তায় প্রাচীন নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মৃত অছিলত মামুদের পুত্র আসাদুজ্জামান (৪০)বলেন,আমি একজন পেপার বিক্রেতা, নিউজ পেপার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমি সহ প্রতিবেশী ৯টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা লতিফা ইয়াসমিন ডলি প্রাচীর নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে,রাস্তার অভাবে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমরা চলাফেরার জন্য রাস্তা চাই। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী মৃত্যু আফসার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩১)বলেন, আমি একজন ভ্যান চালক শ্রমিক , ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি । এ রাস্তা দিয়ে শৈশব কাল হতে চলাফেরা করে আসছি সেই রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণ করে দিয়েছে।

আমার বসত বাড়ির ৩ দিকে প্রাচীর দিয়েছেন,লতিফা ইয়াসমিন ডলি ও একই এলাকার মৃত্যু মতিউর রহমানের ছেলে মহিম বিল্লাহ (২৭)। আমি এখন স্বপরিবার অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। এ ব্যাপারে অবরুদ্ধ হওয়া ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মধ্যে রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ ডিমলা থানা বরাবরে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লতিফা ইয়াসমিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার ক্রয়কৃত জমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করছি। টাকা দিয়ে জমি কিনেছি কাউরে চলাফেরার রাস্তা তৈরি করার জন্য নয়।এ ব্যাপারে ডিমলা থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি ঘটনাটি দেখার জন্য একজন পুলিশ অফিসার কে পাঠিয়েছি। কোন বসত বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করার এখতিয়ার কারোই নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।