ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

ডিমলায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

Hisilicon Balong

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ডিমলায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি । নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় অভিযুক্তকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ । ঘুষের বিনিময়ে আগের দিনে ছাড়া পেলেও বিভিন্ন চাপের কারণে পরের দিনে চোরকে আটক করতে বাধ্য হয়।  তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেনা কর্মকর্তার পরিবার । অভিযোগের পর বিভিন্ন চাপে পরের দিন আবার আটক করে। পুলিশ অফিসারের এমন কর্মের কারণে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের শালহাটী গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ আপেল মিয়ার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে বসত ঘরের স্টিলের ট্রাঙ্কের তালা ভেঙ্গে নগদ ৪৭ হাজার টাকা, সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায়   ৮ লাখ টাকা মালামাল গত ১২ মার্চ দুপুরে নিয়ে যায়।একই  গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র আবু সায়েম (৪৫),জালাল সরকার (৫৩),মোহাম্মদ আলীর পুত্র হাতেম আলী (৪৫) ও তোতা মিয়া (৩৫) চুরি করে নিয়ে যায় হলে আবুল কাশেম অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য যে, ঘটনার দিন বাড়ির সকল সদস্য মিলে ৯ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার কে বাড়িতে একা রেখে আলু তোলার জন্য বাড়ির অদূরে আলু খেতে যান। বিকেল ৪ টায় বাড়িতে ফিরে ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে  চুরি যাওয়ার ঘটনার বিষয়টি জানতে পারে। বাড়িতে রেখে যাওয়া শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তারকে চুরির বিষয়ে জানায়ে তাদের অনুপস্থিতে বাড়িতে প্রবেশের বিষয়ে বললে সুমাইয়া আক্তার উল্লেখিত ব্যক্তিরা দুপুরে বাড়িতে ঢুকে অন্যান্য সদস্যদের খোঁজখবর নেয়ার কথা জানায় । চুরির  বিষয়টি জানা জানি হলে প্রতিবেশীরা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনের মধ্যস্থতায় চুরি যাওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার মালামালগুলো রাত ৮ টার মধ্যে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে সমঝোতা হয় । অভিযুক্তরা কথা মতো বেঁধে দেয়া সময়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত না দিয়ে  টালবাহনা শুরু করায় সেনা কর্মকর্তার পিতা আবুল কাশেম উল্লেখিত ৪ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে ডিমলা থানার এস আই সাগর মোহন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে আবু সায়েমকে আটক এবং আবুল কাশেম সহ কাশেমের ঘরে একান্তভাবে কথা বলে কাশেম কে ছেড়ে দিয়ে তার মোবাইল নিয়ে চলে আসে। সবাইরে উদ্দেশ্য বলেতার ঘরে মোবাইলটি জব্দ করা হলো।
ফিরে আসার সময় কাশেমকে সামনে নিয়ে যেতে বলে এবং কাশেমের হাতে মোবাইলটি ফেরত দেয়। ঘরে বসে তাদের মধ্যে হয়েছে আমি জানিনা, তবে আমার মনে হয় একটা মোটা লেনদেনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা না হলে চোরকে হাতে পেয়েও ছেড়ে দিবে এটা কিভাবে সম্ভব? তাছাড়া,ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাগর মোহন্ত আটককৃত আবু সায়েমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে আশ্বস্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ।এখন চুরি যওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার মালামাল ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । তিনি এটাও অভিযোগ করেন যে, চুরির ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করলেও ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ  আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে শুধু একজনের নামে অভিযোগ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় নিরুপায় হয়ে তাঁর (ওসি) নির্দেশে সেটাই করতে হয়েছে । অভিযোগের বিষয়ে এস আই সাগর মোহন্তের সাথে কথা বললে,তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পারলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী জানান,ঘটনার সবই ঠিক আছে , চলতে গেলে তো টাকার প্রয়োজন আছে । তবে, আমার অফিসার (এস,আই) গেল আর দেড় লাখ টাকা দিয়ে দিল সেটা কি বিশ্বাসযোগ্য আপনারাই বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিমলায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি

আপডেট সময় : ০২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
ডিমলায় সেনা কর্মকর্তার বাড়িতে দিন দুপুরে দুঃসাহসিক চুরি । নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরির ঘটনায় অভিযুক্তকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ । ঘুষের বিনিময়ে আগের দিনে ছাড়া পেলেও বিভিন্ন চাপের কারণে পরের দিনে চোরকে আটক করতে বাধ্য হয়।  তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেনা কর্মকর্তার পরিবার । অভিযোগের পর বিভিন্ন চাপে পরের দিন আবার আটক করে। পুলিশ অফিসারের এমন কর্মের কারণে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের শালহাটী গ্রামের আবুল কাসেমের পুত্র, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ আপেল মিয়ার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে বসত ঘরের স্টিলের ট্রাঙ্কের তালা ভেঙ্গে নগদ ৪৭ হাজার টাকা, সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালংকার সহ প্রায়   ৮ লাখ টাকা মালামাল গত ১২ মার্চ দুপুরে নিয়ে যায়।একই  গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের পুত্র আবু সায়েম (৪৫),জালাল সরকার (৫৩),মোহাম্মদ আলীর পুত্র হাতেম আলী (৪৫) ও তোতা মিয়া (৩৫) চুরি করে নিয়ে যায় হলে আবুল কাশেম অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য যে, ঘটনার দিন বাড়ির সকল সদস্য মিলে ৯ বছরের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার কে বাড়িতে একা রেখে আলু তোলার জন্য বাড়ির অদূরে আলু খেতে যান। বিকেল ৪ টায় বাড়িতে ফিরে ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে  চুরি যাওয়ার ঘটনার বিষয়টি জানতে পারে। বাড়িতে রেখে যাওয়া শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তারকে চুরির বিষয়ে জানায়ে তাদের অনুপস্থিতে বাড়িতে প্রবেশের বিষয়ে বললে সুমাইয়া আক্তার উল্লেখিত ব্যক্তিরা দুপুরে বাড়িতে ঢুকে অন্যান্য সদস্যদের খোঁজখবর নেয়ার কথা জানায় । চুরির  বিষয়টি জানা জানি হলে প্রতিবেশীরা ও স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোবারক হোসেনের মধ্যস্থতায় চুরি যাওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার মালামালগুলো রাত ৮ টার মধ্যে ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে সমঝোতা হয় । অভিযুক্তরা কথা মতো বেঁধে দেয়া সময়ে টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত না দিয়ে  টালবাহনা শুরু করায় সেনা কর্মকর্তার পিতা আবুল কাশেম উল্লেখিত ৪ জনের নামে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে ডিমলা থানার এস আই সাগর মোহন্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনের মধ্যে আবু সায়েমকে আটক এবং আবুল কাশেম সহ কাশেমের ঘরে একান্তভাবে কথা বলে কাশেম কে ছেড়ে দিয়ে তার মোবাইল নিয়ে চলে আসে। সবাইরে উদ্দেশ্য বলেতার ঘরে মোবাইলটি জব্দ করা হলো।
ফিরে আসার সময় কাশেমকে সামনে নিয়ে যেতে বলে এবং কাশেমের হাতে মোবাইলটি ফেরত দেয়। ঘরে বসে তাদের মধ্যে হয়েছে আমি জানিনা, তবে আমার মনে হয় একটা মোটা লেনদেনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা না হলে চোরকে হাতে পেয়েও ছেড়ে দিবে এটা কিভাবে সম্ভব? তাছাড়া,ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাগর মোহন্ত আটককৃত আবু সায়েমকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে আশ্বস্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ।এখন চুরি যওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকার মালামাল ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে । তিনি এটাও অভিযোগ করেন যে, চুরির ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করলেও ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ  আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে শুধু একজনের নামে অভিযোগ দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করায় নিরুপায় হয়ে তাঁর (ওসি) নির্দেশে সেটাই করতে হয়েছে । অভিযোগের বিষয়ে এস আই সাগর মোহন্তের সাথে কথা বললে,তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পারলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন । এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফজলে এলাহী জানান,ঘটনার সবই ঠিক আছে , চলতে গেলে তো টাকার প্রয়োজন আছে । তবে, আমার অফিসার (এস,আই) গেল আর দেড় লাখ টাকা দিয়ে দিল সেটা কি বিশ্বাসযোগ্য আপনারাই বলেন।