ঢাকায় অস্ত্রশস্ত্রসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত আটক

- আপডেট সময় : ১২:৪৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ অগাস্ট ২০২৪ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছে। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশের কোনো থানায় পুলিশের উপস্থিতি নেই।
এই সুযোগে একটি সুযোগসন্ধ্যানী গোষ্ঠী কোথাও কোথাও হিন্দুদের বাড়ি আক্রমণ করছে। ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে বেশ কয়েকজন ডাকাত অস্ত্রসহ আটক করেছে।
চারিদিকে ডাকাতির আতঙ্ক নিয়ে রাত পার করছেন নগরবাসী। স্বউদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়ে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরও করেছেন ছাত্র-জনতা।
এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর চলছে ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে করা হয়েছে মাইকিংও।
এমন পরিস্থিতি থেকে বের হতে চান নগরবাসী। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বুধবার (৭ জুলাই) মিরপুর ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে তাদেরকে সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে তুলে দেয় তারা।
বসিলা এলাকায়ও একই অবস্থা। কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র আটকের ঘটনাও ঘটেছে ডাকাত আতঙ্কের এ রাতে।
রাজধানীর অনেক এলাকায় দেখা গেছে, রাতভর পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক ছাত্র-জনতা টহল দিচ্ছে। যে দলে যোগ দিয়েছেন ছেলে থেকে বুড়ো, সব বয়সী মানুষ। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলেই চালানো হচ্ছে তল্লাশি। শুধু পথচারি নয়, রাস্তায় চলাচলকারি বিভিন্ন পরিবহনও থাকছে তল্লাশির তালিকায়। নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই এমন টহলের আয়োজন বলে যমুনা টিভিকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অনেক জায়গায় পুরুষদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন নারীরাও। সবার জন্য নিরাপদ নগরীর প্রত্যয় নিয়ে ঘর ছেড়ে তারা পাহারায় যোগ দিতে বেরিয়েছেন।
এমন অস্বস্তিকর অবস্থার অবসান চান নগরবাসি। তারা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি সামলাতে দ্রুতই থানা-পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা জরুরি। এদিকে, ছাত্রজনতা জানিয়েছে পুলিশি টহল শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এলাকাভিত্তিক এমন টহল চলমান থাকবে।