ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩০তম উপাচার্য  অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সদ্য সাবেক উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক রাজনীতিবিমুখ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ। ইতোপূর্বে কোনো দলের রাজনৈতিক সভা সমাবেশেও তাকে দেখা যায়নি। সবসময়ই একাডেমিক বিষয়ে প্রাধান্য পাওয়ায় রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে থেকেছেন এই অধ্যাপক।

জানা গেছে, ড. নিয়াজ খানের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক এবং আটজন এমফিল গবেষক গবেষণা করছেন। পাশাপাশি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইও লিখেছেন তিনি।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রাম। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান ও অবিভক্ত ভারতের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এলাকায় তাদের বাড়িটি ‘ডেপুটি বাড়ি’ হিসেবেই পরিচিত।

পেশাগত জীবনে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ‘অধ্যাপক’ ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে একই বিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি।

ঢাবির উপাচার্য হওয়ার আগে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অফ গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টে এর সিনিয়র একাডেমিক এডভাইজার এবং সেন্টার অফ রিসোর্সেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩০তম উপাচার্য  অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান

আপডেট সময় :

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৩০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। সদ্য সাবেক উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষক রাজনীতিবিমুখ শিক্ষক হিসেবে পরিচিত অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ। ইতোপূর্বে কোনো দলের রাজনৈতিক সভা সমাবেশেও তাকে দেখা যায়নি। সবসময়ই একাডেমিক বিষয়ে প্রাধান্য পাওয়ায় রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে দূরে থেকেছেন এই অধ্যাপক।

জানা গেছে, ড. নিয়াজ খানের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরের ১৭ জন পিএইচডি গবেষক এবং আটজন এমফিল গবেষক গবেষণা করছেন। পাশাপাশি দুই শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ ও বইও লিখেছেন তিনি।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি গ্রাম। তার প্র-পিতামহ খান বাহাদুর নাসির উদ্দিন খান ও অবিভক্ত ভারতের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। পিতামহ কবীর উদ্দিন আহমেদ খান ছিলেন আসাম-বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের ডেপুটি কালেক্টর ও প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট। অধ্যাপক নিয়াজ খানের পিতা ড. শফিক আহমদ খান ষাটের দশকের প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ রসায়ন বিভাগ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এলাকায় তাদের বাড়িটি ‘ডেপুটি বাড়ি’ হিসেবেই পরিচিত।

পেশাগত জীবনে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ‘অধ্যাপক’ ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও অধ্যয়ন বিভাগে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে একই বিভাগে অধ্যাপনা করছেন তিনি।

ঢাবির উপাচার্য হওয়ার আগে অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর উপ-উপাচার্য ও উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক (গ্রেড-১) ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি অফ গভর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টে এর সিনিয়র একাডেমিক এডভাইজার এবং সেন্টার অফ রিসোর্সেস এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।