ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

তারাকান্দায় যুবক খুন

মোঃ আলমগীর হোসেন, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)
  • আপডেট সময় : ১০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ফিসারীর পাড় এবং সংলগ্ন ধানক্ষেতের আইল থেকে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের হাত-পা বাঁধা এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । রফিকুল ইসলাম উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের ভালকি নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আঃ রশিদের ছেলে।
গতকাল সোমবার ভোরে ভালকি নয়াপাড়া গ্রামের জনৈক নূরুল হকের ফিসারী এবং সংলগ্ন ধানক্ষেতের মাঝের আইল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম(৪০) বলেন-৩১ আগষ্ট (রোববার) দিনগত রাত ৯ টায় বাড়ীর পার্শ্ববর্তী জনৈক শফিকুলের দোকানের কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় রফিকুল।এরপর থেকে আর তাঁর কোন খোঁজ মিলছিলনা।এদিকে রাত বাড়তে থাকলে স্বজনরা রফিকুলকে খুঁজতে বের হয়।এ সময় স্বজনরা বাড়ী থেকে শফিকুলের দোকানের দিকে যাওয়ার পথে রফিকুলর জুতা এবং টর্চলাইটটি পড়ে থাকতে দেখতে পান।এরপর ভোররাত ৩ টার দিকে দোকানের পিছনে নূরুল হকের ফিসারীর পাড় এবং ধানক্ষেতের আইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রফিকুলের মরদেহটি দেখতে পান।পরে পুলিশে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় তিনি আরও বলেন-আমার ভাইকে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে এবং শরীরের নিন্মাংশে একাধিকবার আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।অন্য কোথাও হত্যা করে আমার ভাইয়ের মরদেহটি এখানে এনে ফেলে রাখা হয়েছে বলে মনে হয়।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. টিপু সুলতান বলেন-রফিকুলের মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে,আমার নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনার পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।এতে মরদেহের গলায় মুখের বা পাশে রক্তাক্ত কাটা জখম ছিল।অন্য কোথাও হত্যার পরে এখানে এনে মরদেহটি ডাম্পিং করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।অভিযান চলছে।থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তারাকান্দায় যুবক খুন

আপডেট সময় :

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ফিসারীর পাড় এবং সংলগ্ন ধানক্ষেতের আইল থেকে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের হাত-পা বাঁধা এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । রফিকুল ইসলাম উপজেলার ঢাকুয়া ইউনিয়নের ভালকি নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আঃ রশিদের ছেলে।
গতকাল সোমবার ভোরে ভালকি নয়াপাড়া গ্রামের জনৈক নূরুল হকের ফিসারী এবং সংলগ্ন ধানক্ষেতের মাঝের আইল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম(৪০) বলেন-৩১ আগষ্ট (রোববার) দিনগত রাত ৯ টায় বাড়ীর পার্শ্ববর্তী জনৈক শফিকুলের দোকানের কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় রফিকুল।এরপর থেকে আর তাঁর কোন খোঁজ মিলছিলনা।এদিকে রাত বাড়তে থাকলে স্বজনরা রফিকুলকে খুঁজতে বের হয়।এ সময় স্বজনরা বাড়ী থেকে শফিকুলের দোকানের দিকে যাওয়ার পথে রফিকুলর জুতা এবং টর্চলাইটটি পড়ে থাকতে দেখতে পান।এরপর ভোররাত ৩ টার দিকে দোকানের পিছনে নূরুল হকের ফিসারীর পাড় এবং ধানক্ষেতের আইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রফিকুলের মরদেহটি দেখতে পান।পরে পুলিশে খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ সময় তিনি আরও বলেন-আমার ভাইকে গলায় ফাঁস দিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে এবং শরীরের নিন্মাংশে একাধিকবার আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।অন্য কোথাও হত্যা করে আমার ভাইয়ের মরদেহটি এখানে এনে ফেলে রাখা হয়েছে বলে মনে হয়।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. টিপু সুলতান বলেন-রফিকুলের মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে,আমার নেতৃত্বে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনার পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।এতে মরদেহের গলায় মুখের বা পাশে রক্তাক্ত কাটা জখম ছিল।অন্য কোথাও হত্যার পরে এখানে এনে মরদেহটি ডাম্পিং করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।অভিযান চলছে।থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।