ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

তালতলীতে মাদ্রাসার ছাত্রীকে হাত ভেঙে দিলো শিক্ষক

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া দারুসসুন্নাহ্ সিরাজুল হক মাষ্টার নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ্ বোডিংয়ে নূরানী শাখার ৮ বছরের শিশু এলমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম (২০)। ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭ টার সময় ওই মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার আহত শিশুর বাবা সাংবাদিকদের কাছে বিচার চেয়ে এমন অভিযোগ করেন।
জানা যায়, এলমার বিরুদ্ধে জুতা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করে এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম অতিরঞ্জিত হয়ে শিশু এলমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম করে। হাতের তালুতে সজোড়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জানতে পারে হাতের আঙুল ফেটে গেছে।
শিশু এলমা বলেন, আমি বলছি জুতা ফালাই নাই তারপরও আমাকে মারছে। আমি বমি করে দিছি।
শিশুর বাবা নূর আলম বলেন, প্রচন্ড আঘাতে মেয়ের শরীর রক্তাক্ত হয়েছে। অতিরিক্ত মারধরের কারনে বমি ও প্রস্রাব করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জুতা ফেলার অভিযোগ পেয়ে ২ টা পিটান দিয়েছি পরে জানতে পারি এলমা ফালায় নায়, তাই যিনি মিথ্যা বলেছে তাকে ৩ টা পিটান দিয়েছি। পরে এলমার বাবা এসে আমাকে মারধর করেছে। তবে শিশু এলমার বাবা এবং স্থানীয়রা শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি ভুয়া দাবি করছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ কাওসার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের একটি নীতিমালায় আনা দরকার। যাহাতে তারা জবাবদিহিতার আওতায় আসে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ জালাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তালতলীতে মাদ্রাসার ছাত্রীকে হাত ভেঙে দিলো শিক্ষক

আপডেট সময় :

বরগুনার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া দারুসসুন্নাহ্ সিরাজুল হক মাষ্টার নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও লিল্লাহ্ বোডিংয়ে নূরানী শাখার ৮ বছরের শিশু এলমাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম (২০)। ১৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭ টার সময় ওই মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার আহত শিশুর বাবা সাংবাদিকদের কাছে বিচার চেয়ে এমন অভিযোগ করেন।
জানা যায়, এলমার বিরুদ্ধে জুতা ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করে এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় হাফেজ মোঃ রফিকুল ইসলাম অতিরঞ্জিত হয়ে শিশু এলমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলা জখম করে। হাতের তালুতে সজোড়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। পরিবার শিশুটিকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জানতে পারে হাতের আঙুল ফেটে গেছে।
শিশু এলমা বলেন, আমি বলছি জুতা ফালাই নাই তারপরও আমাকে মারছে। আমি বমি করে দিছি।
শিশুর বাবা নূর আলম বলেন, প্রচন্ড আঘাতে মেয়ের শরীর রক্তাক্ত হয়েছে। অতিরিক্ত মারধরের কারনে বমি ও প্রস্রাব করে দিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, জুতা ফেলার অভিযোগ পেয়ে ২ টা পিটান দিয়েছি পরে জানতে পারি এলমা ফালায় নায়, তাই যিনি মিথ্যা বলেছে তাকে ৩ টা পিটান দিয়েছি। পরে এলমার বাবা এসে আমাকে মারধর করেছে। তবে শিশু এলমার বাবা এবং স্থানীয়রা শিক্ষককে মারধরের বিষয়টি ভুয়া দাবি করছেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ কাওসার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি আমরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকের একটি নীতিমালায় আনা দরকার। যাহাতে তারা জবাবদিহিতার আওতায় আসে।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ জালাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।