তিতাসে বন্ধুদের হাতে বন্ধু খুন আটক-৪

- আপডেট সময় : ০২:৪৭:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মোবাইল ফোনে রুবেলকে (২৭)ডেকে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুড়ালের কোপে হত্যার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন তিতাস থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় উপজেলার গাজীপুর বাস্তহারায় তিতাস থানার ডোম জয়নাল আবেদিনের ঘরে।এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা রুজু করেছেন। ইতিমধ্যেই ৪ জনকেই গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। তারা হলো, ইয়াছিন (৩২)পিতা শাজাহান, তোফাজ্জল (৪৫) পিতা কামাল খান, মোহাম্মদ আলী (২৭) পিতা জয়নাল ও ডোম জয়নাল (৫৫) পিতা মৃত ছামাদ মিয়া, সর্ব সাং গাজীপুর বাস্তহারা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ইয়াছিন, রুবেল, তোফাজ্জল ও মোহাম্মদ আলী চার জন এক সাথে মোহাম্মদ আলীর ঘরে ইয়াবা সেবন করতে যায়। ইয়াছিন ৬৫০ টাকা দেয় মোহাম্মদ আলীকে ইয়াবা আনতে, মোহাম্মদ আলী আরিফ নামের এক মাদককারবারির কাছ থেকে তিন পিস ইয়াবা কিনে আনে। রুবেল ইয়াবা সেবনের এক পর্যায়ে ইয়াছিন কোমর থেকে হাতুড়ি বের করে রুবেলের মাথায় আঘাত করলে, রুবেল খাট থেকে নিচে পড়ে যায় এবং গোংগানি শুরু করে। এসময় তোফাজ্জল রুবেলের পা চেপে ধরে পড়ে মোহাম্মদ আলী তার ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে মাথায় একাধিক কোপ দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ গুম করার জন্য ইয়াছিন ও তোফাজ্জল ব্যাগ আনতে গিয়ে আর আসেনি। তারা না আসায় মোহাম্মদ আলী হতাশা গ্রস্ত হয়ে স্থানীয় রাশেদ ফরাজি নামের একজনকে ফোন করেন। ফোন পেয়ে রাশেদ ফরাজি ঘটনা স্থলে এসে রুবেলের রক্তাক্ত মৃত দেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মোহাম্মদ আলী রাশেদকে ঘটনা ছল থেকে দূরে নিয়ে যায়। পরে রাশেদের জ্ঞান ফিরলে চিৎকার করে বলেন, মোহাম্মদ আলী খুন করেছে, তখন আশপাশের লোকজন এসে মোহাম্মদ আলীকে আটক করে।
খবর পেয়ে মোহাম্মদ আলীর পিতা ডোম জয়নাল ঘটনা স্থলে আসলে তাকেও স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। আটককৃত মোহাম্মদ আলীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে রাত আনুমানিক ৩টার সময় ইয়াছিন ও তোফাজ্জলকে গাজীপুরস্থ তাদের জার জার ঘর থেকে আটক করে পুলিশ। রুবেলকে হত্যার নেপথ্যে দুটি কারণের কথা জানা যায়। একটি হলো- ইয়াছিনের তৃতীয় স্ত্রী তাকে ছেড় চলে গেছে, ইয়াছিনের ধারণা এব্যাপারে নিহত রুবেলের হাত রয়েছে। অন্যটি হতে পারে, তোফাজ্জল নিহত রুবেলের কাছে ১৫ টি ইয়াবার টাকা পায়। এই দুই কারণ সামনে রেখে হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে তিতাস থানা পুলিশ।
এবিষয়ে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামু-নূর রশিদ বলেন, রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই জিয়াউর বাদী হয়ে ৪ জনের উল্লেখ করে আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা ইতি মধ্যে এজাহার নামীয় ৪ জনকে আটক করেছি এবং আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।