তুহিন হত্যাকারীদের বিচারের দাবি ও দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মাগুরায় মানববন্ধন
- আপডেট সময় : ২৩৬ বার পড়া হয়েছে
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডসহ দেশব্যাপী সাংবাদিকদের উপর হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মাগুরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সরোয়ারদী কলেজের সামনে সাংবাদিক সমাজ, মাগুরা এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটি সহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অংশ নেন। বক্তারা সাংবাদিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন দৈনিক যুগান্তরের মাগুরা জেলা প্রতিনিধি আবু বাসার আখন্দ, মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও মাগুরা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এইচ এন কামরুল ইসলাম, বিজয় টিভির ওবায়দুর রহমান , গণকণ্ঠের এম ফেরদৌস রেজা এবং এসএ টিভির আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
আবু বাসার আখন্দ বলেন, দেশে তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। গণ-অভ্যুত্থানের পর মানুষ যে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজের স্বপ্ন দেখেছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি। সংবাদমাধ্যমে ভয়ভীতি, চাপ ও তথাকথিত ‘মব সংস্কৃতি’ বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে গণমাধ্যমের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।
এইচ.এন. কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গত এক বছরে পুলিশের কার্যক্রমে দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে না থাকলে দেশ আজ শ্মশানে পরিণত হতো। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান পুলিশের শক্তি ও গতি বৃদ্ধি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে, নইলে দেশ ভয়াবহতার দিকে এগোবে।”
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম তুহিনসহ দেশব্যাপী সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের উপর হত্যার যে ঘটনা ঘটছে, অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। শুধু গ্রেফতার নয়, বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে এ ধরনের অপরাধের সাহস আর কেউ না পায়।
কামরুল ইসলাম দেশের সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, আপনারা নিজেদের সুবিধার জন্য সাংবাদিকদের ঐক্য বিনষ্ট করছেন। যদি এভাবে চলতে থাকে, ভবিষ্যতে কেউ রক্ষা পাবেন না।



















