সংবাদ শিরোনাম ::
ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ে জন্মজয়ন্তী উদযাপনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৩:২৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মজয়ন্তী জাতীয় পর্যায়ে কবির বাল্যস্মৃতি বিজড়িত ত্রিশাল নজরুল মঞ্চে উদযাপনের দাবিতে ‘আমরা ত্রিশালবাসী’র ব্যানারে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলার শতাধিক নজরুলপ্রেমী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নজরুল অডিটোরিয়ামের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।
সম্প্রতি জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মজয়ন্তী জাতীয় পর্যায়ে কুমিল্লায় পালনের ঘোষণা এলে এমন খবরে ফুসে উঠে কবির বাল্যস্মৃতি বিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশালের নজরুল প্রেমিরা। মানববন্ধনে আগত ব্যাক্তিরা এসময় কবির বাল্যস্মৃতি বিজরিত ত্রিশালে এবার নজরুল জন্মজয়ন্তী জাতীয় পর্যায়ে পালনের ঘোষণা না দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তারা বলেন, কবির বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে ত্রিশালের নামটি ঐতিহাসিক ভাবে জড়িত। ত্রিশালের দারোগা রফিজউল্লাহ আসানসোলের সেই রুটির দোকান থেকে কবিকে নিয়ে এসে উপজেলার তদানিন্তন দরিরামপুর(বর্তমানে সরকারি নজরুল একাডেমি) হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি করান। এখানে থাকা অবস্থায় তার কবিত্ব প্রতিভা বিকশিত হয়। এখানের নামাপাড়া বিচুতিয়া ব্যাপারী বাড়ীতে জায়গীর থেকে কবি প্রায় দুই বছর অবস্থান করে লেখাপড়া করেন। কবির শৈশবের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ কাটিয়েছেন ত্রিশালে।
ত্রিশালের মানুষ কবির জন্য যা করেছে তা চিরস্মরণীয়। কবিকে ভালোবেসে ত্রিশালের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে জাতীয় কবির নামে। কবির নামে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ত্রিশালের মানুষের রয়েছে অসামান্য অবদান। অর্থ, জমি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন অনেকে। কবির জন্মবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে ত্রিশালকে রেখে অন্য কোথাও হতে পারে না। এটা অন্যায়, এটা বৈষম্য। ত্রিশালে জাতীয় পর্যায়ে জন্মজয়ন্তী পালনের ঘোষণা না এলে এলাকার নজরুলপ্রেমী মানুষ আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাবে। প্রয়োজনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-ময়মন মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
ঘোষিত কর্মসূচীতে শিক্ষক, সুশিল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক সমাজসহ ত্রিশালের আপামোর জনসাধারণ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিবের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, ত্রিশাল উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল আউয়াল, জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মাস্টার, শুকতারা সংঘের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিহাব, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকার, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক এটিএম মনিরুজ্জামান, সাংবাদিক রুকুনুজ্জামান সরকার রাহাদ, যুবদলনেতা মাহফুজুর রহমান কবীর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মারুফ হাসান, মেহেদী হাসান, হাসান সরকারসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘের নেতৃবৃন্দ।