ঢাকা ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীনগরে ভূট্টায় কৃষকের স্বপ্ন Logo নওগাঁ সদর উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা Logo বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনএসআই মাঠ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে Logo মধুখালীতে গোল্ডেন পরিবহনের চাপায় এক ভ্যান যাত্রী নিহত Logo সেনবাগে বৃদ্ধের বসতঘর ভংচুর, পিটিয়ে হাত ভাঙ্গল ভাতিজা Logo নরসিংদীর মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে জাটকা নিধন Logo সপ্তাহ ব্যাপী অভিযানে ফেনী ব্যাটালিয়ান ৪ বিজিবির কোটি টাকার মালামাল আটক Logo ডাকবাংলায় আব্দুল মালেক ও বাবুল মাস্তানের দাপট: ফের সক্রিয় অপরাধ জগতে Logo পৌনে এক কোটি টাকার কালভার্টের মূল কাজ শুরু হয়নি ৪ বছরেও,দুর্ঘটনা ও ভোগান্তিতে ৫০গ্রামের বাসিন্দা Logo ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:১৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪ ২৫০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

আপডেট সময় : ০৫:১৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।