ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদ লিপি Logo পটুয়াখালী জেলা বিজেপির আহবায়ক শাওন ও সদস্য সচিব রুমী Logo জকসু নির্বাচনসহ ২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo নওগাঁয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু Logo বছরের সাত মাস পানি বন্ধী বিদ্যালয় তিন যুগ ধরে নৌকায় যাতায়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর Logo ঝিনাইগাতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রধান রাস্তায় হাঁটুপানি, দুর্ভোগে পথচারীরা Logo ভান্ডারিয়ায় খাল থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার,পায়ে বাঁধা ছিল ইট Logo রক্তস্নাত মাগুরার ৪ আগস্ট: যেদিন কলমে রক্ত জমেছিল, চোখে জমেছিল মৃত্যুর আলপনা Logo জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে প্রতিবন্ধী মেলা Logo প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে কমছে জমি, গৃহহীন হচ্ছেন হাজারো পরিবার

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

আপডেট সময় :

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।