ঢাকা ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারা ও মিলন কবিরের প্রতারণা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেন্টাল ক্লিনিক করার নামে নড়াইলের মির্জাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ বেনজির হোসেনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারা ও মিলন কবিরের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার (১৮অক্টোবর) দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী বেনজির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,দাঁতের সমস্যা নিয়ে আমি গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার চেম্বারে যাই। আমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জানতে পেরে আঁখি তারা আমাকে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে যৌথভাবে একটি ডেন্টাল ক্লিনিক করতে উৎসাহিত করেন। তার কথায় প্ররোচিত হয়ে ক্লিনিক করার জন্যে কয়েক দফায় জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার ২ বছর পার হলে ও ক্লিনিক করতে না পারায় আমি আমার পাওয়না টাকা ফেরত চাই। তখন আঁখি আমাকে তার যশোর ঘোপ সেন্টার রোড বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে নিয়ে তার নিজ নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ টাকার দুইটি চেক দেন এবং ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আমার পাওনা টাকা ফেরত দিবেন। আমি টাকার জন্য চাপ দিলে আঁখি উল্টো হুমকি দিয়ে বলে, আমার অনেক রোগী পুলিশ কর্মকর্তা। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমাকে মামলায় ফাঁসানো হবে।
হঠাৎ ২৫ সালের ২জুন আমার নিজ বাড়ি মির্জাপুর থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ আমাকে আটক করে। আটকের পরের দিন আমাকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। এর পর আমি যশোর কারাগারে থাকাকালীন চৌগাছার মিলন কবির ও যশোর পুলিশ লাইন এলাকার মফিজুর রহমান আমার গ্রামের বাড়িতে এসে আমার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে আঁখির দেওয়া চেক ফেরত দিতে বলেন। প্রান বাঁচাতে আমার পরিবারের সদস্যরা চেক দুটি মিলন ও মফিজের কাছে ফেরত দেন ।
পরে আমার ছোট ভাই জোবায়ের কে মিথ্যা মামলা ভয়ভীতি দিয়ে তার একাউন্টের মাধ্যমে আইএফআইসি গোবরা উপ-শাখা থেকে ১৬লাখ টাকা নেন। আমার নামে করা আঁখি তারার মামলা পুলিশ দিয়ে মিমাংসার কথা বলে এবং আমার পাওনা টাকা আঁখির নিকট থেকে ফেরত এনে দিবে বলে যশোর ডেকে নিয়ে ৭ লাখ টাকা নগত নেন মিলন কবির। শুধু তাই নয় আমার বৃদ্ধ মা ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে দুইটি চেক নেন এবং জোর করে মামলা মিমাংসার কথা বলে স্টাম্পে আমার স্ত্রী সাথী আক্তারের ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে স্বাক্ষর নেন।
ব্যবসায়ী বেনজির হোসেনের পাওনা টাকায় চেকের বিষয়ে দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন মামলা মিমাংসা করব টাকা ও চেক ফেরত দিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারা ও মিলন কবিরের প্রতারণা বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

ডেন্টাল ক্লিনিক করার নামে নড়াইলের মির্জাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ বেনজির হোসেনের কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারা ও মিলন কবিরের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার (১৮অক্টোবর) দুপুরে নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী বেনজির। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,দাঁতের সমস্যা নিয়ে আমি গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে যশোরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার চেম্বারে যাই। আমি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জানতে পেরে আঁখি তারা আমাকে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে যৌথভাবে একটি ডেন্টাল ক্লিনিক করতে উৎসাহিত করেন। তার কথায় প্ররোচিত হয়ে ক্লিনিক করার জন্যে কয়েক দফায় জমি বিক্রি করে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার ২ বছর পার হলে ও ক্লিনিক করতে না পারায় আমি আমার পাওয়না টাকা ফেরত চাই। তখন আঁখি আমাকে তার যশোর ঘোপ সেন্টার রোড বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে নিয়ে তার নিজ নামীয় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লাখ টাকার দুইটি চেক দেন এবং ২০২৪ সালের ৭ ডিসেম্বর আমার পাওনা টাকা ফেরত দিবেন। আমি টাকার জন্য চাপ দিলে আঁখি উল্টো হুমকি দিয়ে বলে, আমার অনেক রোগী পুলিশ কর্মকর্তা। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোমাকে মামলায় ফাঁসানো হবে।
হঠাৎ ২৫ সালের ২জুন আমার নিজ বাড়ি মির্জাপুর থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ আমাকে আটক করে। আটকের পরের দিন আমাকে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দিয়ে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। এর পর আমি যশোর কারাগারে থাকাকালীন চৌগাছার মিলন কবির ও যশোর পুলিশ লাইন এলাকার মফিজুর রহমান আমার গ্রামের বাড়িতে এসে আমার বৃদ্ধ মা ও স্ত্রীকে অস্ত্র দেখিয়ে আঁখির দেওয়া চেক ফেরত দিতে বলেন। প্রান বাঁচাতে আমার পরিবারের সদস্যরা চেক দুটি মিলন ও মফিজের কাছে ফেরত দেন ।
পরে আমার ছোট ভাই জোবায়ের কে মিথ্যা মামলা ভয়ভীতি দিয়ে তার একাউন্টের মাধ্যমে আইএফআইসি গোবরা উপ-শাখা থেকে ১৬লাখ টাকা নেন। আমার নামে করা আঁখি তারার মামলা পুলিশ দিয়ে মিমাংসার কথা বলে এবং আমার পাওনা টাকা আঁখির নিকট থেকে ফেরত এনে দিবে বলে যশোর ডেকে নিয়ে ৭ লাখ টাকা নগত নেন মিলন কবির। শুধু তাই নয় আমার বৃদ্ধ মা ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে দুইটি চেক নেন এবং জোর করে মামলা মিমাংসার কথা বলে স্টাম্পে আমার স্ত্রী সাথী আক্তারের ও ভাই জুবায়ের-এর নিকট হতে স্বাক্ষর নেন।
ব্যবসায়ী বেনজির হোসেনের পাওনা টাকায় চেকের বিষয়ে দন্ত চিকিৎসক আঁখি তারার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন মামলা মিমাংসা করব টাকা ও চেক ফেরত দিব।