ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

দাগনভূঞায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টকে ডাম্পিং স্টেশন ভেবে কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দাগনভূঞা উপজেলার রামনগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এর কাজ ডাম্পিং স্টেশন ভেবে গত শুক্রবার সকালে বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী। সেদিন ঠিকাদার কাজের মালামাল নিলে তা দেখে কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী।
তবে এলাকাবাসীর অনেকেই ডাম্পিং স্টেশন ভেবে ও তাদের শারিরীক ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই প্রকল্পটি তাদের এলাকায় হতে দিবেনা বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এখানে যাওয়ার পথের কিছু জায়গার মালিক এলাকা লোকজন রয়েছে কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোন আলোচনা না করে বা না বুঝিয়েই এই কাজটি শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের আওতায় সারা বাংলাদেশে ৩২টি উপজেলায় ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার মধ্যে দাগনভূঞা পৌরসভা রয়েছে।
যার প্রাক্কলিত মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো বলা হচ্ছে এটি ডাম্পিং স্টেশন নয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এ দুইটি এক নয়। এই প্রকল্পে পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকবেনা কোন দুর্গন্ধ ছড়াবেনা। এছাড়া প্রায় ২০০ ফুট উঁচু দেয়ার দিয়ে ঘেরাও থাকায় সেখান থেকে পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকবেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্লান্টে যাওয়ার পথের জায়গার মালিক শাহ ইকবাল বিজয় জানান, এই ডাম্পিং স্টেশনে যাওয়ার প্রায় ৪০০-৫০০ মিটার রাস্তা ব্যক্তিমালিকানাধীন। এ জায়গার শুরুতেই প্রায় ১০০ মিটার জায়গার মালিক আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা আমার সাথে কেও কথা বলেনি জানায়ওনি এ বিষয়ে। আমাদের জমির উপর রাস্তা দিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে যাবে এ রাস্তা আমি রাখবোনা। প্রয়োজনে কেটে ফেলে দিব রাস্তার পিছনে আমার খামার আছে দরকার হলে আমি সেটা কেটে সেখানেও খামার করে ফেলবো। সরকার কোন রাস্তার কোন ব্যবস্থা করেনি ব্যক্তি মালিকানার ৪০০-৫০০ মিটার মালিকদের সাথে কোন আলোচনা করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহীদুল ইসলাম বলেন, দাগনভূঞাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল একটা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি আধুনিক, সুন্দর ও উন্নত দাগনভূঞা প্রতিষ্ঠা করা। আপনারা জানেন মাতৃভূঞা ব্রিজের কাছে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পরিবেশের ক্ষতি হয়। আপনাদের সদয় জ্ঞতার্থে জানিয়ে রাখি এটা ডাম্পিং স্টেশন না। এখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য থেকে রিসাইকেলের মাধ্যমে সার উৎপাদন করা হবে। এই প্লান্ট থেকে কোনো দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ নেই বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্লাট তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ দয়া করে কেও এটাকে ডাম্পিং স্টেশন বলবেন না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল‍্যান্ট। তাই এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে দয়া করে কেও ভুলভাবে উপস্থাপন করবেন না। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে খুব দ্রুত এই প্রকল্পের বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। দাগনভূঞার সকল জনসাধারণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধিসমাজকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক দাগনভূঞা গড়ে তুলবো। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দাগনভূঞার সকল জনসাধারণ তার সুফল পাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাগনভূঞায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্টকে ডাম্পিং স্টেশন ভেবে কাজ বন্ধ করলো এলাকাবাসী

আপডেট সময় :

দাগনভূঞা উপজেলার রামনগরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এর কাজ ডাম্পিং স্টেশন ভেবে গত শুক্রবার সকালে বন্ধ করে দিলো এলাকাবাসী। সেদিন ঠিকাদার কাজের মালামাল নিলে তা দেখে কাজ বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী।
তবে এলাকাবাসীর অনেকেই ডাম্পিং স্টেশন ভেবে ও তাদের শারিরীক ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে এই প্রকল্পটি তাদের এলাকায় হতে দিবেনা বলে জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, এখানে যাওয়ার পথের কিছু জায়গার মালিক এলাকা লোকজন রয়েছে কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোন আলোচনা না করে বা না বুঝিয়েই এই কাজটি শুরু করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের আওতায় সারা বাংলাদেশে ৩২টি উপজেলায় ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির প্রকল্প নেয়া হয়েছে যার মধ্যে দাগনভূঞা পৌরসভা রয়েছে।
যার প্রাক্কলিত মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো বলা হচ্ছে এটি ডাম্পিং স্টেশন নয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট এ দুইটি এক নয়। এই প্রকল্পে পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকবেনা কোন দুর্গন্ধ ছড়াবেনা। এছাড়া প্রায় ২০০ ফুট উঁচু দেয়ার দিয়ে ঘেরাও থাকায় সেখান থেকে পরিবেশ বা স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকবেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্লান্টে যাওয়ার পথের জায়গার মালিক শাহ ইকবাল বিজয় জানান, এই ডাম্পিং স্টেশনে যাওয়ার প্রায় ৪০০-৫০০ মিটার রাস্তা ব্যক্তিমালিকানাধীন। এ জায়গার শুরুতেই প্রায় ১০০ মিটার জায়গার মালিক আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা আমার সাথে কেও কথা বলেনি জানায়ওনি এ বিষয়ে। আমাদের জমির উপর রাস্তা দিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে যাবে এ রাস্তা আমি রাখবোনা। প্রয়োজনে কেটে ফেলে দিব রাস্তার পিছনে আমার খামার আছে দরকার হলে আমি সেটা কেটে সেখানেও খামার করে ফেলবো। সরকার কোন রাস্তার কোন ব্যবস্থা করেনি ব্যক্তি মালিকানার ৪০০-৫০০ মিটার মালিকদের সাথে কোন আলোচনা করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাহীদুল ইসলাম বলেন, দাগনভূঞাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল একটা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি আধুনিক, সুন্দর ও উন্নত দাগনভূঞা প্রতিষ্ঠা করা। আপনারা জানেন মাতৃভূঞা ব্রিজের কাছে দীর্ঘদিন যাবত পৌরসভার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় ও পরিবেশের ক্ষতি হয়। আপনাদের সদয় জ্ঞতার্থে জানিয়ে রাখি এটা ডাম্পিং স্টেশন না। এখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে বর্জ্য থেকে রিসাইকেলের মাধ্যমে সার উৎপাদন করা হবে। এই প্লান্ট থেকে কোনো দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগ নেই বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্লাট তৈরি করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ দয়া করে কেও এটাকে ডাম্পিং স্টেশন বলবেন না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল‍্যান্ট। তাই এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে দয়া করে কেও ভুলভাবে উপস্থাপন করবেন না। আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে খুব দ্রুত এই প্রকল্পের বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। দাগনভূঞার সকল জনসাধারণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ছাত্র সমাজ, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধিসমাজকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক দাগনভূঞা গড়ে তুলবো। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দাগনভূঞার সকল জনসাধারণ তার সুফল পাবে।