ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন দেওয়ানগঞ্জ বাজার স্টেশন পর্যন্ত চালুর জোর দাবি Logo জেসমিন প্রকল্পের উদ্যোগে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদান সভা অনুষ্ঠিত Logo দেওয়ানগঞ্জ সড়ক দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত আহত এক Logo রামুর কাউয়ারখোপে ১৫৫ জন কৃষকের মাঝে বিনা মুল্যে সার ও বীজ বিতরণ Logo তিন বন্ধুকে সংবর্ধনা দিলো এসএসসি ৯৪ ব্যাচ Logo জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন Logo সহযোগীতা চেয়ে বাঁচার আকুতি যুবকের Logo বিস্ফোরক মামলার আসামিকে সাথে নিয়ে অফিস উদ্বোধন জামায়াত নেতার Logo বুড়ি ভদ্রা নদীখননে দুর্নীতির অভিযোগ, এবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শঙ্কা Logo কালকিনিতে সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু

দানবিক থেকে মানবিক পুলিশ গঠনে স্বাধীন কমিশন গঠন অপরিহার্য

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দানবিক থেকে পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য।

শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এর উদ্যোগে আয়োজিত জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন।

এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি, ৮ই আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সাথে কথা বলি, এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল, তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না।

এক দানবিক পুলিশের থেকে মানবিক পুলিশ গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। কমিশন পাঁচ সদস্যের অধিক না হওয়ার বিষয়ে মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি।

যেকোনো উপায়ে পুলিশ বাহিনীর উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে দিতে হবে। আমাদের ছাত্ররা পুলিশকে সাহায্য করছে।

তারা ট্রাফিক সামলানোর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজও করছে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে থানায় থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নাগরিক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ থেকে কমিয়ে দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত কম।

তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে কনস্টেবল যোগদান করে আর সেই পথ থেকেই অবসরে যান, যা কাম্য নয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন আর পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না তখন তিনি হতাশ হন, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব অভিমত ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে তার অধস্তন পুলিশ ডিউটি করে।

দায়িত্ব পালন করতে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এজন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের জন্য থানায় সংযুক্ত করে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে পুলিশ কাজ করে সেটি জানার ও বোঝার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে জেলাভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমার মতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দানবিক থেকে মানবিক পুলিশ গঠনে স্বাধীন কমিশন গঠন অপরিহার্য

আপডেট সময় : ০৮:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

 

দানবিক থেকে পুলিশকে মানবিক হিসেবে গড়ে তুলতে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য।

শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এর উদ্যোগে আয়োজিত জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন।

এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের পুলিশ কমিশন গঠন করা জরুরি, ৮ই আগস্টের পর পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের সাথে কথা বলি, এই পুলিশ কমিশন গঠন তাদের সে সময়ের দাবি ছিল, তারা আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না।

এক দানবিক পুলিশের থেকে মানবিক পুলিশ গঠনের ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। কমিশন পাঁচ সদস্যের অধিক না হওয়ার বিষয়ে মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, স্বাধীন পুলিশ কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের উপর গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি।

যেকোনো উপায়ে পুলিশ বাহিনীর উপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য পুলিশের সাথে জনগণের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে দিতে হবে। আমাদের ছাত্ররা পুলিশকে সাহায্য করছে।

তারা ট্রাফিক সামলানোর মত গুরুত্বপূর্ণ কাজও করছে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে থানায় থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নাগরিক কমিটি করে দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ থেকে কমিয়ে দুই ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ সুবিধা অত্যন্ত কম।

তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে কনস্টেবল যোগদান করে আর সেই পথ থেকেই অবসরে যান, যা কাম্য নয়। একজন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট যখন আর পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না তখন তিনি হতাশ হন, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

নিচের দিকে পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব অভিমত ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জানা উচিত কীভাবে তার অধস্তন পুলিশ ডিউটি করে।

দায়িত্ব পালন করতে কী কী সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। এজন্য বিসিএস ক্যাডারভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সারদায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে এক বছরের জন্য থানায় সংযুক্ত করে তৃণমূল পর্যায়ে কীভাবে পুলিশ কাজ করে সেটি জানার ও বোঝার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।

পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণে জেলাভিত্তিক নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ না করে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমার মতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাধীন পুলিশ কমিশনের মাধ্যমেই হওয়া উচিত।