ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের বাহাদুর বাজার সড়কটি পৌরবাসীর দুর্ভোগের ঠিকানা!

রাজু বিশ্বাস, দিনাজপুর
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ২১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দিনাজপুর শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা পুরাতন বাহাদুর বাজার সড়কটি এখন অভিভাবকহীন। যে যার মতো যানবাহন, মালামাল থেকে শুরু করে সব কিছুই রাস্তার ওপরে রাখার ফলে কার্যত নগর চিত্র বলতে যা বোঝায় তা অবশিষ্ট নেই। নানা পণ্যবোঝাই ট্রাক, অটো রিকশা সবকিছুই এই রাস্তাজুড়ে অবস্থান। একারণে সকাল-সন্ধ্যা তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, অফিসগামী এবং আদালত পাড়ার হাজারো মানুষদের।

১৮৬৯ খ্রিষ্টব্দের পহেলা এপ্রিল দিনাজপুর পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এটি এখন প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ১২টি ওয়ার্ডে প্রায় লাখ ছয়েক লোকের বসবাস।

কাগজে-কলমে পৌরসভার উন্নীত হলেও কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে রয়েছে দিনাজপুর পৌরসভা। ফলে ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা বলে গর্বের কিছুই নেই। তা আছে কেবল সিলমোহরে।

পৌরবাসীর অভিযোগ ব্যস্ততম রাস্তাটি এখন পণ্যবাহী যানবাহন, রিকশা-অটো স্ট্যাণ্ডে পরিণত হয়েছে। ফুটপাত বলতে কিছু নেই। সবই দখলে চলে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে সরকারি মহিলা কলেজ, জিলা স্কুল, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আদালত পাড়ার প্রধান সড়ক। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ এই পথে যাতায়াত করে থাকেন।

অভিযোগ বিগত ১৫ বছরে সড়কটি সংস্কার হয়নি। দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (সম্প্রতি বরখাস্ত)।

গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা পণ্যখালাসের টার্মিনালে পরিণত হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই রাস্তাটি। যদিও রাত সাড়ে আটটার আগে ট্রাক, তেলবাহী গাড়ি, ট্রাক্টরসহ ভারী যানবাহন পৌর এলাকায় প্রবেশ নিষেধ।

কিন্তু নিয়মের প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে পুলিশের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব ভারী যানবাহন পৌর এলাকায় দিব্যি চলচ্ছে। পণ্য, ইট, রড়, বালুসহ যাবতীয় মালামাল রনাস্তার ওপরে লোড আনলোড হচ্ছে। সংস্কার বিহীন রাস্তা গুলোর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন সর্বসময় চলাচল করায় রাস্তাগুলোতে নানা সাইজের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

মডার্ন মোড থেকে ঘাসিপাড়া, পাহাড়পুর থেকে ষষ্ঠীতলা, ষষ্ঠীতলা থেকে বালুয়াডাঙ্গা, মিশন রোড, শেরশাহ মোড় (বটতলী) থেকে গুঞ্জাবাড়ী, তুতবাগান মোড়, রাজবাটী, গোলাম পাড়ার মোড় এবং পুলহাটসহ সিংহভাগ রাস্তার বেহাল অবস্থা।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব আলী দুলাল জানান, মাত্র সাড়ে চার মাস আগে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক চলাচল করার জন্য স্টেশন থেকে লিলির মোড়, মডার্ন মোড় থেকে ঘাসিপাড়া, লালবাগ রামনগর এলাকার সড়ক গুলো ইটের সুড়কি ও বালু দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে সড়কগুলো সংস্কার কাজ শুরু হবে এবং পানি নিষ্কাশনে উভয় পাশে বড় বড় ড্রেন হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দিনাজপুরের বাহাদুর বাজার সড়কটি পৌরবাসীর দুর্ভোগের ঠিকানা!

আপডেট সময় : ০৬:৩০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

 

দিনাজপুর শহরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা পুরাতন বাহাদুর বাজার সড়কটি এখন অভিভাবকহীন। যে যার মতো যানবাহন, মালামাল থেকে শুরু করে সব কিছুই রাস্তার ওপরে রাখার ফলে কার্যত নগর চিত্র বলতে যা বোঝায় তা অবশিষ্ট নেই। নানা পণ্যবোঝাই ট্রাক, অটো রিকশা সবকিছুই এই রাস্তাজুড়ে অবস্থান। একারণে সকাল-সন্ধ্যা তীব্র যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থী, অফিসগামী এবং আদালত পাড়ার হাজারো মানুষদের।

১৮৬৯ খ্রিষ্টব্দের পহেলা এপ্রিল দিনাজপুর পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এটি এখন প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। ১২টি ওয়ার্ডে প্রায় লাখ ছয়েক লোকের বসবাস।

কাগজে-কলমে পৌরসভার উন্নীত হলেও কর্মকাণ্ডে পিছিয়ে রয়েছে দিনাজপুর পৌরসভা। ফলে ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা বলে গর্বের কিছুই নেই। তা আছে কেবল সিলমোহরে।

পৌরবাসীর অভিযোগ ব্যস্ততম রাস্তাটি এখন পণ্যবাহী যানবাহন, রিকশা-অটো স্ট্যাণ্ডে পরিণত হয়েছে। ফুটপাত বলতে কিছু নেই। সবই দখলে চলে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে সরকারি মহিলা কলেজ, জিলা স্কুল, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আদালত পাড়ার প্রধান সড়ক। দুর্ভোগকে সঙ্গী করেই প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষ এই পথে যাতায়াত করে থাকেন।

অভিযোগ বিগত ১৫ বছরে সড়কটি সংস্কার হয়নি। দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম (সম্প্রতি বরখাস্ত)।

গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ব্যবসায়ীরা পণ্যখালাসের টার্মিনালে পরিণত হয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্রের এই রাস্তাটি। যদিও রাত সাড়ে আটটার আগে ট্রাক, তেলবাহী গাড়ি, ট্রাক্টরসহ ভারী যানবাহন পৌর এলাকায় প্রবেশ নিষেধ।

কিন্তু নিয়মের প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে পুলিশের নাকের ডগার ওপর দিয়ে এসব ভারী যানবাহন পৌর এলাকায় দিব্যি চলচ্ছে। পণ্য, ইট, রড়, বালুসহ যাবতীয় মালামাল রনাস্তার ওপরে লোড আনলোড হচ্ছে। সংস্কার বিহীন রাস্তা গুলোর ওপর দিয়ে ভারী যানবাহন সর্বসময় চলাচল করায় রাস্তাগুলোতে নানা সাইজের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

মডার্ন মোড থেকে ঘাসিপাড়া, পাহাড়পুর থেকে ষষ্ঠীতলা, ষষ্ঠীতলা থেকে বালুয়াডাঙ্গা, মিশন রোড, শেরশাহ মোড় (বটতলী) থেকে গুঞ্জাবাড়ী, তুতবাগান মোড়, রাজবাটী, গোলাম পাড়ার মোড় এবং পুলহাটসহ সিংহভাগ রাস্তার বেহাল অবস্থা।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আবু তৈয়ব আলী দুলাল জানান, মাত্র সাড়ে চার মাস আগে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক চলাচল করার জন্য স্টেশন থেকে লিলির মোড়, মডার্ন মোড় থেকে ঘাসিপাড়া, লালবাগ রামনগর এলাকার সড়ক গুলো ইটের সুড়কি ও বালু দিয়ে মেরামত করা হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে সড়কগুলো সংস্কার কাজ শুরু হবে এবং পানি নিষ্কাশনে উভয় পাশে বড় বড় ড্রেন হবে।